হোম অর্থ ও বাণিজ্য বেড়েছে ছোলা আমদানি, তবুও বাড়ছে দাম

বেড়েছে ছোলা আমদানি, তবুও বাড়ছে দাম

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 72 ভিউজ

বাণিজ্য ডেস্ক:

আসন্ন রমজান উপলক্ষে চাহিদা থাকায় হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি হচ্ছে ছোলা, বাদাম, মসুর ও মুগডাল। জিরার আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে পণ্যটির দাম। এক মাসের ব্যবধানে প্রতি কেজি জিরায় কমেছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত। সপ্তাহের ব্যবধানে বাদামে কমেছে ৫ টাকা। তবে শুল্ক ছাড়ে আমদানি করা ছোলার দাম ঊর্ধ্বমুখী, প্রায় ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকা।

বন্দরে ছোলা কিনতে আসা পাইকার মকবুল বলেন, আসন্ন রমজান উপলক্ষে ছোলা বুটের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তবে চাহিদাকে পুঁজি করে ব্যবসায়ীরা ছোলা বুটের দাম বৃদ্ধি করেছেন। অথচ পণ্যটির শুল্ক ছাড়াই আমদানি করছে তারা। দাম তো কমার কথা অথচ সেটাই বৃদ্ধি পাচ্ছে। দুই সপ্তাহ আগেও দাম ছিল ৮০ টাকার নিচে সেটা কয়েক দফায় দাম বেড়ে বর্তমানে ৯৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এভাবে দাম বৃদ্ধি পেতে থাকলে তাহলে কীভাবে কিনব।

বন্দরের আরেক ব্যবসায়ী জাবেদ হোসেন রাসেল বলেন, এই বন্দরে বেশি আমদানি হয় পেঁয়াজ, রসুন, আদা, গম ও ভূট্টা সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য।তবে পেঁয়াজের আমদানি বন্ধ থাকলেও আসন্ন রমজানকে সামনে রেখে বন্দর দিয়ে ছোলা বুট, বাদাম ও সহ নানা রকম ভোগ্যপণ্যের বড় একটি অংশ ভারত থেকে আমদানি করা হচ্ছে।

শুল্ক ফ্রিতে আমদানি ছোলা বুটের দাম কেন দাম বাড়ছে এ বিষয়ে তিনি বলেন প্রতিটা পণ্যের দামি প্রতিনিয়তই বাড়ছে আজকে একদম কিনছি কালকে আরেক দামে কিনছি যে কারণেই দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

আরেক ব্যবসায়ী আলমগী হোসেন বলেন, মাঝে ভারতে জিরার দাম বৃদ্ধিসহ বেশ কিছু কারণে আমদানি কমিয়ে দেয় ব্যবসায়ীরা, তবে ভারতে পণ্যটির দাম সহনীয় পর্যায় আশায় আবারো বাড়তে শুরু করেছে জিরার আমদানি।

মাসখানেক আগেও প্রতি কেজি জিরা ১১০০ টাকা বিক্রি হলেও বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৭২০ টাকা। এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে বাদাম ৫ টাকা কমেছে কেজিতে । প্রতি কেজি বাদাম বিক্রি হচ্ছে ১৩৯ টাকা থেকে ১৪৫ টাকা কেজিতে।

জিরা আমদানিতে শুল্ক দিতে হয় কেজিতে ২৩৫ টাকা ,বাদামে ৯ টাকা আর শুল্ক ফ্রি ছোলা বুট। এসব পণ্য আমদানি হচ্ছে ভারতের উত্তর প্রদেশ (ইউপি) ,রাজস্থান থেকে । সরবরাহ হচ্ছে ঢাকা,সিলেট চট্রগ্রামসহ বিভিন্ন শহরে যাচ্ছে ।

এদিকে ব্যবসায়ী ও ভোক্তাদের সুবিধার্থে শুল্কায়ন শেষে পণ্য দ্রুত ছাড় করণে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলছেন হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. হারুন উর রশিদ হারুন।

স্থলবন্দর ও কাস্টমসের তথ্যমতে, গতমাসের ১ তারিখ থেকে চলতি মাসের ১৮ তারিখ পর্যন্ত হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় ২ হাজার ২০ ট্রাকে ৫৪ হাজার ৭৩৫ মেট্রিক টন পণ্য আমদানি হয়েছে। যার মধ্যে বাদাম, জিরা, ছোলা, মসুর ডাল, মুগডাল ও আদা রয়েছে প্রায় ১০ হাজার মেট্রিক টন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন