বাণিজ্য ডেস্ক:
ভরা মৌসুমেও কাঙ্ক্ষিত পর্যটকের দেখা নেই মৌলভীবাজারে। বেশিরভাগ হোটেল-মোটেল-রিসোর্ট ফাঁকা। এতে বিপাকে পড়েছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। এরইমধ্যে শত কোটি টাকার লোকসান হয়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।
প্রাকৃতিক অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি মৌলভীবাজার। জেলার উঁচু নিচু পাহাড়-টিলায় রয়েছে সবুজ গালিচা মোড়ানো চা বাগান। এছাড়া রয়েছে, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, হাইল হাওড় ও মাধবকুণ্ড ঝর্ণাসহ প্রাকৃতিক নৈসর্গ।
চলতি পর্যটন মৌসুমের শুরুতেই রাজনৈতিক অস্থিরতায় মৌলভীবাজারে পর্যটকের সংখ্যা একদম তলানিতে। মধ্য ডিসেম্বর থেকে অল্প সংখ্যক পর্যটক আসা শুরু করেন বিভিন্ন স্পটে। বর্তমানে জেলার বেশিরভাগ হোটেল-মোটেল-রিসোর্টই ফাঁকা। এতে উপার্জন কমে বিপাকে পড়েছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। বর্তমানে যে হারে পর্যটক আসছেন, তা অব্যাহত থাকলে হয়তো ক্ষতি কিছুটা কমবে বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা।
টি হেভেন রিসোর্টের সিনিয়র ব্যবস্থাপক মো. টিটু জানান, ডিসেম্বর মাসের শেষ দিকে এসে কিছু পর্যটকের উপস্থিতি দেখা গেছে। এতে পর্যটন ব্যবসায়ীরা কিছুটা হলেও আশার আলো দেখছেন।
সেপ্টেম্বর থেকে এ পর্যন্ত একশ কোটি টাকার বেশি ক্ষতির দাবি পর্যটন ব্যবসায়ীদের। তবে, এ সংকট সাময়িক ও শিগগিরই তা কেটে যাবে বলে জানান জেলা প্রশাসক।
শ্রীমঙ্গল পর্যটন সেবা সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মো. সামছুল হক বলেন, ‘হরতাল অবরোধের কারণে গত কয়েক মাসে পর্যটন খাতে এ জেলায় শতকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ ক্ষতি কোনোভাবেই কাটানো যাবে না। তবে তিনি জানান, ডিসেম্বর মাসের শেষ দিকে এসে কিছু সংখ্যক পর্যটক আসছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী মাসগুলো পর্যটন ক্ষতির পরিমাণ কিছুটা হলেও পূরণ করা যাবে।’
মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম জানান, পর্যটক উপস্থিতি কম, তবে এটি সাময়িক সমস্যা। মৌলভীবাজার জেলার অর্ধশত পর্যটনকেন্দ্রে প্রতিবছর প্রায় দশ লাখ পর্যটক ভ্রমণ করেন।’