রাজনীতি ডেস্ক:
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীসহ খুলনা বিভাগের ১০ জেলার ৩৬টি সংসদীয় আসনে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন ৩৮ জন।
রোববার (১৭ ডিসেম্বর) বিভিন্ন জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়ন প্রত্যাহারপত্র জামা দেন তারা। ফলে বিভাগের এখন মোট প্রার্থী আছেন ২২৬ জন। প্রত্যাহার করা প্রার্থীদের মধ্যে আওয়ামী লীগ, জাকের পার্টি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন।
খুলনা বিভাগে মনোনয়ন প্রত্যাহার করা প্রার্থীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সাতক্ষীরা-২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত আসাদুজ্জামান বাবু ও একই আসনে ওয়ার্কার্স পার্টির তৌহিদুর রহমান। বিভাগের বিভিন্ন জেলায় জাকের পার্টির প্রার্থীরা মনোননয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। তবে কিছু আসনে জাকের পার্টির প্রার্থীরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি।
খুলনা: জেলার ৬টি আসনে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন পাঁচজন। ৫টি আসনে জাকের পার্টির পাঁচ প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। তবে খুলনা-৩ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি কেউ। মনোননয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন খুলনা-১ আসনে মো. আজিজুর রহমান, খুলনা-২ আসনে ফরিদা পারভীন, খুলনা-৪ আসনে শেখ আনছার আলী ও খুলনা-৫ আসনে সামাদ শেখ। খুলনায় মোট বৈধ প্রার্থী আছেন এখন ৩৪ জন।
বাগেরহাট: জেলার ৪টি আসনের মধ্যে দুটি আসনে জাকের পার্টি মনোনীত দুই প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। তারা হলেন: বাগেরহাট-১ আসনে শেখ গোলাম ফারুক চান ও বাগেরহাট-৪ আসনের বাদল রেজা। বাগেরহাটের ৪টি আসনে মোট প্রার্থী আছেন ২৬ জন।
যশোর: জেলার ৬টি আসনে মোট ৭ জন মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এর মধ্যে ৫ জন জাকের পার্টির আর বাকি দুজন স্বতন্ত্র। প্রত্যাহার করা প্রার্থীরা হলেন: যশোর-১ (শার্শা) আসনে মো. সবুর খান, যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা) আসনের মো. সাফারুজ্জামান, যশোর-৩ (সদর) আসনে মো. মহিদুল ইসলাম, যশোর-৪ (বাঘারপাড়া-অভয়নগর) আসনে লিটন মোল্যা, যশোর-৫ (মণিরামপুর ) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আমজাদ হোসেন লাবলু, হুমায়ুন সুলতান, যশোর -৬ (কেশবপুর) আসনে মো. সাইদুজ্জামান।
সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীসহ মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন ৬ জন। এই জেলায় বৈধ প্রার্থী আছেন ৩৬ জন। মনোনয়ন প্রত্যাহার করা প্রার্থীদের মধ্যে আছেন সাতক্ষীরা-২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত আসাদুজ্জামান ও একই আসনে ওয়ার্কাস পার্টির তৌহিদুর রহমান ও জাকের পার্টির ইফতেখার আল মামুন সুমন। এ ছাড়া সাতক্ষীরা-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মাসুদা খানও মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
নড়াইল: জেলার দুটি আসনে একমাত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন জাকের পার্টির মিজানুর রহমান। এই জেলার দুটি আসনে প্রার্থী আছেন ১২ জন।
কুষ্টিয়া: জেলার ৪টি আসনে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন ৬ জন। এদের মধ্যে রয়েছেন কুষ্টিয়া-১ আসনে জাকের পার্টির নোয়ার হোসেন বাবলু, কুষ্টিয়া-২ আসনের জাকের পার্টির রওশন আলী, মো. শরীফুজ্জামান ও জাসদের মো. গোলাম মহসিন। এ ছাড়া কুষ্টিয়া-৩ আসনে জাকের পার্টির মীর আবু আশরাফ। এই জেলায় বৈধ প্রার্থী আছেন ৩১ জন।
মেহেরপুর: জেলার দুটি আসনে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন ৫ জন। এই জেলায় বৈধ প্রার্থী আছেন ১৩ জন। মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেয়া প্রার্থীরা হলেন: মেহেরপুর-১ আসনে জাকের পার্টির সাইদুল ইসলাম শাহীন, মেহেরপুর-২ আসনে জাকের পার্টির সামছুদ্দোহা, ওয়ার্কার্স পার্টির নুর আহমেদ বকুল, দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী মোখলেসুর রহমান মুকুল ও সহিদুজ্জামান খোকন।
চুয়াডাঙ্গা: জেলার দুটি আসনের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা-১ আসন থেকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন জাকের পার্টির আব্দুস সালাম। এই জেলায় এখন মোট বৈধ প্রার্থী ১৩ জন।
ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহের ৪টি আসন থেকে মোট তিনজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। তারা হলেন- ঝিনাইদহ-২ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইদুল করিম মিন্টু ও জাকের পার্টির বাবলু মিয়া। এ ছাড়া ঝিনাইদহ-৩ আসন থেকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আনিছুর রহমান টিপু। এই জেলায় বর্তমানে বৈধ প্রার্থী ২৬ জন।
মাগুরা: জেলার দুটি আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন ২ জন। তারা হলেন- মাগুরা-১ আসন থেকে জাকের পার্টির মো. মাসুদ পারভেজ ও মাগুরা-২ আসন থেকে একই দলের মো. আলী হায়দার। এই জেলায় বৈধ প্রার্থী আছেন ১০ জন।
এর আগে খুলনা বিভাগের ১০ জেলার ৩৬টি আসন মনোনয়ন সংগ্রহ করেছিলেন ৩২২ জন। এর মধ্যে যাচাই-বাছাইতে মনোনয়ন বাতিল হয়েছিলো ৮৫ জনের।