বাণিজ্য ডেস্ক:
সংকটে থাকা শরিয়াহভিত্তিক পাঁচ ব্যাংকের অর্থ ঘাটতি পূরণে চিঠি দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, এ বিষয়ে গণমাধ্যমে ভুলভাবে সংবাদ প্রচার করা হয়েছে।
সম্প্রতি কয়েকটি গণমাধ্যমের প্রকাশিত খবরে বলা হয়, সংকটে থাকা শরিয়াহভিত্তিক পাঁচ ব্যাংককে আগামী ২৬ ডিসেম্বরের মধ্যে চলতি হিসাবের টাকার ঘাটতি পূরণ করতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই ব্যাংকগুলোর লেনদেন কার্যক্রম কেন্দ্রীয় ব্যাংক বন্ধ করে দিতে পারে বলেও খবরে উল্লেখ করা হয়।
তবে শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) এ প্রেক্ষিতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, ব্যাংকগুলোকে ক্লিয়ারিং হাউস বা নিকাশ ঘর থেকে বিরত রাখার সিদ্ধান্ত হয়নি।
অবশ্য এ বিষয়ে রোববার (১৭ ডিসেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে ব্যাংকগুলোকে চিঠি দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক। তিনি বলেন, শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলোকে নিয়ে ভুলভাবে সংবাদ প্রচার করা হয়েছে। ইসলামি ব্যাংকের ঘাটতি কম, তবে তারল্য সংকট আছে।
তবে ব্যাংকগুলোতে অর্থের ঘাটতি কম জানিয়ে, তার ব্যাখ্যায় বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র বলেন, ‘একটি জিনিস ভুলভাবে উপস্থাপন হয়ে গেছে। আমরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন চিঠিতে বিভিন্ন প্রসঙ্গ বলি। আমরা সবসময়ই বলি যে অন্যথায় আপনার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নবাণে জর্জরিত হতে হয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্রকে। জবাবে তিনি বলেন, চিঠি দেয়া বা তাদেরকে সতর্ক করা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি চলমান প্রক্রিয়া। এটি কোনো সিদ্ধান্ত নয়।
নিয়ম অনুযায়ী, বিভিন্ন ক্লিয়ারিং পেমেন্ট সিস্টেমের জন্য ব্যাংকগুলোর চলতি হিসাবে নির্ধারিত অর্থ রাখতে হয়। কিন্তু কয়েকটি ইসলামী ব্যাংকের চলতি হিসাবে গত এক বছর ধরে অর্থের ঘাটতিতে আছে বলে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়। তাই গত ২৮ নভেম্বর ওই পাঁচ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের ২০ কার্যদিবসের মধ্যে টাকার ঘাটতি মেটাতে নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে চিঠিতে।
এদিকে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আইএমএফের দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ পাওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের পদ্ধতি অনুযায়ী রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৫ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলার। আর আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী বিপিএম-৬ অনুযায়ী, দেশের রিজার্ভ এখন ২০ দশমিক ৪১ বিলিয়ন ডলার।