হোম খেলাধুলা নান্নু-বাশার ও হাথুরুসিংহের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নির্বাচনের পর

স্পোর্টস ডেস্ক:

কাউকে মিথ্যে অপবাদ দিয়ে নয় বরং স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই পরিবর্তন আসবে নির্বাচক প্যানেলে। কেবল নির্বাচক নয়, সিদ্ধান্ত নেয়া হবে হেডকোচ চান্ডিকা হাথুরুসিংহের ভবিষ্যত নিয়েও। জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তবে এ সবকিছুর জন্য অপেক্ষা জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হওয়া পর্যন্ত। বিপিএলের আগে ক্রিকেটার, বোর্ড পরিচালকদের সঙ্গে আলোচনা শেষে বড় সিদ্ধান্ত আসতে পারে দেশের ক্রিকেটে।

বাংলাদেশ দলের যে কোন ব্যর্থতায় আঙুল তোলা হয় নির্বাচকদের দিকেই। অবশ্য কালেভদ্রে আসা সাফল্যে নান্নু-বাশাররা পান না আলাদা কোন ক্রেডিট। সাবেক দুই বাংলাদেশ অধিনায়কের শেষ ১১ বছর কেটেছে এভাবেই। তবে এবার ভিন্ন চিন্তা ক্রিকেট বোর্ডের। ২৩ এর শেষে চুক্তির মেয়াদ ফুরোলে, নতুন মুখ দেখা যেতে পারে নির্বাচক প্যানেলে।

তবে বর্তমান প্যানেলকে কোন প্রকার মিথ্যে অপবাদ দেয়ার পক্ষে নন বিসিবি সভাপতি। বরং ক্রিকেটের স্বার্থে এ পরিবর্তনকে তিনি দেখছেন ইতিবাচকভাবে। নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘ কথাটা হচ্ছে আমি আপনাদের বিশ্বকাপের আগে প্রশ্নগুলো করেছিলাম যদিও কেউ উত্তর পাঠায়নি। তাদের কাছে চেয়েছিলাম যে আপনাদের পছন্দের স্কোয়াডটা বলেন। নির্বাচকের কাজ যদি খেলোয়াড় নির্বাচন করা হয় আমি যেভাবে দেখি। ছোট তামিমকে (তানজিদ তামিম) খালি বাদ দেই। কারণ সেখানে তামিম ইকবালের যাওয়ার কথা। শেষ মুহূর্তে গিয়ে সে ওপেন করছে। এখানে গেছে লিটন দাস, শান্ত, সাকিব, মুশফিক,তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মিরাজ। আমি বোলারদের ধরলাম না।’

তিনি যোগ করেন, ‘কাকে বাদ দিলে আপনারা খুশি হতেন, আমাকে যদি একটা-দুইটা নাম বলতেন। আজ পর্যন্ত কেউ নাম বলে না। আর বলে নির্বাচক তার সব দোষ। কাউকে বাদ দেয়নি দেখেই দোষ। কাকে বাদ দিলে আপনারা বলতেন খুব ভালো হয়েছে। এই উত্তরটা না পেলে আমাদের জন্য সিদ্ধান্ত নেয়া কঠিন।’

এ সময় নির্বাচক প্যানেলে পরিবর্তনের আভাস দিয়ে পাপন বলেন, ‘আমি যে জিনিসটা বলতে চাচ্ছি এটা একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। পরিবর্তন হয়, অনেকদিন হয়েছে, সবসময় পরিবর্তন হওয়াটা ভালো। কাউকে অভিযোগ দিয়ে বাদ দেয়া, মিথ্যা অপবাদ দিয়ে বাদ দেয়া খারাপ নিদর্শন তৈরি করে।’

কেবল নির্বাচক নয়, হেডকোচ চান্ডিকা হাথুরুসিংহের ভবিষ্যত নিয়েও নতুন করে ভাবতে চাচ্ছে ক্রিকেট বোর্ড। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষে তার সঙ্গে মেয়াদ বাড়ানোর ভাবনায় আসতে পারে পরিবর্তন। তবে সবকিছুর জন্যে অপেক্ষা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষের।

পাপন বলেন, ‘আমাদের চিন্তাভাবনা ৭ (জানুয়ারি) তারিখের পর, আমি ৮ তারিখের আগে যেহেতু ঢাকায় ফেরত আসতে পারব না। কারণ আমি চলে যাচ্ছি; একেবারেই ইলেকশন শেষ করে রেজাল্টের পরই আসতে হবে। তার পরপরই আমরা বোর্ড মিটিং দিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে নেবো। যত দ্রুত নেয়া যায়। পারলে দুই তিনদিনের মধ্যেই। বিপিএলের মধ্যেই হয়তো।’

কখনো নাজমুল আবেদিন ফাহিম কখনো বা মোহাম্মদ আশরাফুল, নির্বাচক হিসেবে আলোচনায় অনেকের নাম। বোর্ডের অবশ্য নির্দিষ্ট কোন শর্ত নেই এই পদের জন্যে। আগ্রহীদের ব্যাপারে বোর্ডের সঙ্গে নিয়মমাফিক আলোচনা শেষেই নেয়া হবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন