রাজনীতি ডেস্ক:
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম)-এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর ক্ষোভ ঝেড়েছেন বিএনপির ওপর। নির্বাচন নিয়ে ভুল সিদ্ধান্তসহ বিএনপি ছাড়ার নানা কারণ দেখিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করে না। বিএনপিতে থাকাকালীন কোনো মর্যাদা পাইনি, কোনো সভায় গেলে দেখা যেত ব্যানারে আমার চেয়ে অনেক ছোট বয়সের নেতাদের নাম উপরে থাকত, আমার নাম নিচে থাকত। আমি তখন খুবই লজ্জার মধ্যে পড়তাম। এ কারণেই বিএনপি থেকে সরে দাঁড়িয়েছি।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেলে ফরিদপুরের মধুখালী পৌর সদরে নেতাকর্মীদের সঙ্গে বিশেষ বর্ধিত সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
শাহ জাফর বলেন, ‘একটা সময় মনে হলো রাজনীতি ছেড়ে দেব। কিন্তু কাছের মানুষজন বলল রাজনীতি ছাড়া যাবে না। `বিএনএম’ নামে নতুন একটি দল গঠন করে তার দায়িত্ব তারা আমাকে দিয়েছে।’
তিনি বলেন, “অনেকেই বলে থাকেন বিপুল পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে শাহ্ জাফর বিএনএম দল গঠন করেছে। মূলত বিএনপি যদি নির্বাচনে আসত তাহলে আমি বিএনপি থেকে মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচন করতাম। আমি ধানের শীষের প্রার্থী হতাম। যেহেতু বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলো না, আমি নির্বাচনে অংশ নিতে চাই, সে কারণে `বিএনএম’ দল গঠন করে প্রার্থী হয়েছি।”
‘বিএনএম’-এর চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি মনে করি বিএনপি রাজনৈতিকভাবে যে পথ অবলম্বন করেছে এটা সঠিক না এবং গণতান্ত্রিক পরিবেশকে নষ্ট করার জন্য এটা করেছে। পিটার হাসের কথা শুনে তারা বেশি উৎসাহিত ছিল এবং তাদের ধারণা ছিল পিটার হাস এ দেশের নির্বাচন বন্ধ করে দেবে। বিএনপি ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না। শেষ পর্যন্ত পিটার হাস চুপ হয়ে গেছেন। এ কারণে আমি মনে করি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট গোলাম মনসুর নান্নু, মুহাম্মদ মিজানুর রহমান সরদার, সৈয়দ আবুল বাশার, শাহ মুহাম্মাদ খৈয়ম, খন্দকার মো. ওবায়দুর রহমান, আবুল কালাম আজাদ, আ. মালেক নান্নু, জাফর সরদার, তাহমিনা জাফর ও শাহজাহান মাস্টার।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-১ (মধুখালী-বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আব্দুর রহমান, বিএনএম-এর প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর, জাতীয় পার্টির আকতারুজ্জামান খান, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির নুর ইসলাম শিকদার, জাকের পার্টির আব্দুর রউফ মোল্যা, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাংবাদিক আরিফুর রহমান দোলন ও কেন্দ্রীয় মহিলা লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম কৃক।