হোম আন্তর্জাতিক যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করল ইরাক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেছে ইরাক। হামাস ইসরায়েলের মধ্যেকার যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর মার্কিনদের এই সতর্কবার্তা দিয়েছে দেশটি। শনিবার (২ ডিসেম্বর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল সুদানি যুক্তরাষ্ট্রকে এ সতর্কবার্তা দেন। মূলত ফিলিস্তিনে ইসরায়েলিদের হামলা শুরুর পর ইরাকে মার্কিন হামলার বিষয়ে এ সতর্কবার্তা দেওয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী সুদানি আলাপকালে এ যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেন।

সুদানি বলেন, ইরাকে থাকা আন্তর্জাতিক জোটের উপদেষ্টাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তারা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

এদিকে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাসের গোপন পরিকল্পনা জেনে যাওয়ার দাবি করেছে ইসরায়েল। দেশটি বলছে, হামাসের হামলার এ পরিকল্পনা তারা এক বছর আগেই জেনে গিয়েছিল।

হামলা সংক্রান্ত বিভিন্ন নথি, ই-মেইল ও সাক্ষাৎকার পর্যালোচনা করে নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ইসরায়েলের সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা হামাসের অভিযানের পরিকল্পনা জানত। এক বছরের বেশি সময় আগে তারা এসব জেনে গিয়েছিল। তবে বিষয়টিকে তারা পাত্তা দেয়নি। হামাসের দ্বারা এসব কাজ করা সম্ভব হবে না বলে মূল্যায়ন করেছিল তারা।

ইসরায়েলি কর্মকর্তারা হামাসের এ হামলার নথিকে জেরিখো ওয়াল নামে নামকরণ করেছে। এ নথিটি ৪০ পৃষ্ঠার। যেখানে পয়েন্ট আকারে ইসরায়েলে হামলার বিষয় এমনকি নিহতের সংখ্যা পর্যন্তও উল্লেখ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। দেড় মাস ধরে ইসরায়েলি বাহিনীর সর্বাত্মক হামলার পর গত ২৪ নভেম্বর প্রথমবারের মতো চার দিনের যুদ্ধবিরতি কার্যকর করে ইসরায়েল ও হামাস। এরপর দুই দফা এই যুদ্ধবিরতি চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে একমত হয় দুপক্ষ। তবে শুক্রবার সকাল ৭টায় যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হলেও চুক্তি বাড়ানো নিয়ে ঘোষণা দেয়নি কোনো পক্ষই।

যুদ্ধবিরতির শেষ হওয়ার পর প্রথম দিনে গাজার ৪০০ স্থাপনায় হামলার দাবি করেছে ইসরায়েল। দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, দীর্ঘ যুদ্ধবিরতির পর গাজায় পুনরায় হামলা শুরু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় গাজার ৪০০ স্থাপনায় হামলা করা হয়েছে।

আইডিএফ জানিয়েছে, ইসরায়েলের এসব লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে অন্য হলো হামাসের অস্ত্রাগার ও অবকাঠামো। খান ইয়ানিস ও দেইর আল বালাদের হামাসের এসব লক্ষ্যে হামলা করা হয়েছে। এ ছাড়া একটি মসজিদকে গাজার আরেক দল ইসলামিক জিহাদ নিজেদের কেন্দ্রীয় নির্দেশনা কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করে আসছিল। এ ছাড়া এ সময়ে আইডিএফ একটি সেলে অতর্কিত হামলা চালিয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলেছেন, ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১৮৪ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া অন্তত ৫৮৯ জন আহত হয়েছেন এবং ২০টির বেশি বাড়িতে বোমা হামলা হয়েছে।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়, শুক্রবার যুদ্ধবিরতি শেষ হতেই দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের পূর্বাঞ্চলে তীব্র বোমাবর্ষণ শুরু হয়। বোমা হামলার মধ্যেই একটু নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে বাসিন্দারা গাড়িতে জিনিসপত্র নিয়ে সড়কে নেমে যান। এ ছাড়া গাজা থেকে ইসরায়েলি শহরে রকেট ছোড়া হলে দক্ষিণ ইসরায়েলে সাইরেন বাজানো হয়। যদিও হামাসের এসব হামলায় ইসরায়েলে কোনো হতাহতের বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন