স্পোর্টস ডেস্ক:
প্রথম দিন আর দ্বিতীয় দিনে খেলা শুরুর মধ্যে ১৬ ঘণ্টার পার্থক্য থাকলেও বাংলাদেশের ইনিংসের স্থায়ীত্ব কেবল এক বল। সিলেট টেস্টে দ্বিতীয় দিন একটা বল খেলেই অলআউট হয় বাংলাদেশ। দিনের বাকি গল্পটা কেন উইলিয়ামসনের। ক্যাচ ফেলে তাকে জীবন দিয়েছে বাংলাদেশ দল। সুযোগ নিয়ে সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। তবে শেষ বেলায় কেনসহ তিন উইকেট নিয়ে প্রথম ইনিংসে লিড পাওয়ার আশা বাঁচিয়ে রেখেছে বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় দিন শেষে নিউজিল্যান্ড ৮৪ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৬৬ রান তুলেছে। ক্রিজে আছেন আটে ব্যাট করতে নামা পেসার কাইল জেমিনসন (৭)। তার সঙ্গী অধিনায়ক টিম সাউদি। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ এগিয়ে আছে ৪৪ রানে।
প্রথম দিন ৯ উইকেটে ৩১০ রানে শেষ করেছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিনের প্রথম বলে লেগ বিফোর হন শরিফুল। ব্যাট করতে নামা নিউজিল্যান্ডের ৯৮ রানে ৩ উইকেট তুলে নেয় স্বাগতিকরা। ওপেনার টম ল্যাথামকে (২১) নিজের প্রথম ওভারে তুলে নেন তাইজুল ইসলাম। ডেভন কনওয়েকে (১২) সাজঘরে পাঠান মেহেদী মিরাজ। এরপর হেনরি নিকোলসকে (১৯) তুলে নেন শরিফুল।
ধাক্কা সামাল দেওয়ার দায়িত্ব নিয়ে উইলিয়ামসনের সঙ্গে ৬৬ রানের জুটি গড়েন ড্যারেল মিশেল। তিনি ফিরে যান ৬১ রান করে। পরেই ফেরেন টম ব্লান্ডেল (৬)। নিউজিল্যান্ড ১৭৫ রানে হারায় ৫ উইকেট। সেখান থেকে উইলিয়ামসন ও গ্লেন ফিলিপস ৭৮ রান যোগ করেন। তাদের জুটিতে লিড নেওয়ার আশা দেখছিল নিউজিল্যান্ড।
কিন্তু ফিলিপসকে (৪২) আউট করে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। তাকে আউট করেন মুমিনুল হক। এরপর নতুন বল হাতে নিয়ে দিনের সেরা ব্রেকথ্রু দেন তাইজুল ইসলাম। নতুন বল হাতে নিয়ে ২০৫ বল খেলে ১০৪ রান করা উইলিয়ামসনকে বোল্ড করে দেন তিনি। পরে ইশ শোধিও আউট হন তাইজুলের বলে।
এর আগে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ দলের হয়ে ১৬৬ বল খেলে সর্বোচ্চ ৮৬ রান করেন তরুণ ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। ১১টি চারের শট মারেন তিনি। এছাড়া নাজমুল শান্ত (৩৭), মুমিনুল হকরা (৩৭) সেট হয়ে ফিরে যান। অভিষিক্ত শাহাদাত হোসেন ২৪ ও মেহেদী মিরাজ ২০ রানের ইনিংস খেলেন।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে অফ স্পিনার গ্লেন ফিলিপস তুলে নেন ৪ উইকেট। ২টি করে উইকেট নেন পেসার জেমিনসন ও স্পিনার আজাজ প্যাটেল। বাংলাদেশের হয়ে তাইজুল ৩০ ওভারে ৮৯ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট।