রাজনীতি ডেস্ক:
নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে সংকট নিরসনের আগে দ্বাদশ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাকে নাটক বলে মনে করছে বিএনপি। সরকার পতনের এক দফা দাবিতে অনড় দলটির নেতারা বলছেন, সন্ধ্যায় তফসিল ঘোষণার ফলে দেশের রাজনীতিকে আরও সংঘাতের দিকে নিয়ে যাবে।
সন্ধ্যায় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু মাঠের বিরোধী দল বিএনপি তফসিল ঘোষণা থেকে বিরত থাকতে ইসির কাছে দাবি জানিয়ে আসছিল।
নির্বাচন কমিশনকে সরকারের আজ্ঞাবহ দাবি করে দলটির নেতারা বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের সক্ষমতা নেই বর্তমান ইসির। সরকারের সঙ্গে মিলে তারা একতরফা নির্বাচনের চেষ্টা করছে। এ ফলে রাজনীনৈতিক সংঘাত ছড়িয়ে পড়লে এর দায় নিতে হবে ইসিকে।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, তফসিল ঘোষণার ফলে রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও জটিল হবে। সে জন্য নির্বাচন কমিশনের উচিত নির্বাচনকালীন সরকারের ফয়সালার পর তফসিল ঘোষণা করা। যেখানে নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থাই ঠিক হয়নি, সেখানে তফসিল ঘোষণা মানে নির্বাচন কমিশন দেশের মানুষের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে। সেটা দেশের জন্য শুভকর হবে না।
আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলোচনা করেও কোনো লাভ হবে না দাবি করে বিএনপির এ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, অওয়ামী লীগ জনগণে বিশ্বাস করো না, ভোটে বিশ্বাস করে না, রাজনৈতিক দলে বিশ্বাস করে না।
যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বানে সংলাপ নিয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন বলেন, অতীতেও দেখা গেছে তফসিল ঘোষণার পর তা বাতিল হয়ে গেছে। আর কার সঙ্গে আমরা সংলাপ করব? বিএনপির অধিকাংশ শীর্ষ নেতা কারাগারে। বিএনপির মহাসচিব জেলখানায়, মির্জা আব্বাস জেলখানায়, নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে; এ অবস্থায় কার সঙ্গে কীভাবে সংলাপ হবে এটা আমার কাছে বোধগম্য নয়। আর সরকার যদি বলে দেয় তফসিল ঘোষণা হয়ে গেছে, তাহলে সংলাপের প্রয়োজনই-বা কী? তারা একতরফা নির্বাচনে হয়তো এগিয়ে যাবে, আর সরকার পারে না এমন কোনো বিষয় নেই।