হোম অর্থ ও বাণিজ্য আকু পেমেন্টের পর কিছুটা নেমেছে রিজার্ভ, শঙ্কা নেই

বাণিজ্য ডেস্ক:

সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের আমদানি বিল বাবদ এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) ১ দশমিক ১৭ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ। এতে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছে ১৯ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে। তবে এতে শঙ্কার কিছু নেই বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক।

বুধবার (৮ নভেম্বর) বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে সময় সংবাদকে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন,

গত দুই মাসের আকু পেমেন্ট পরিশোধের পর দেশের গ্রস বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৫ দশমিক ২১ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। তবে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে গঠিত তহবিলের অর্থ ৫ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলার বাদ দিলে রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৯ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার। সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের আকু পেমেন্ট করা হয়েছে ১ দশমিক ১৭ বিলিয়ন ডলার।

তবে এখনও দেশের রিজার্ভে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো নিয়ে শঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়।

এর আগে ১৯ অক্টোবর আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি পাওয়া প্রসঙ্গে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে মেজবাউল হক জানিয়েছিলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৬ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন ডলার।

তারও আগে জুলাই ও আগস্ট মাসের আমদানি বিল বাবদ আকুকে ১ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছিল বাংলাদেশ। তখন দেশের বৈদেশিক মুদ্রার প্রকৃত রিজার্ভ দাঁড়িয়েছিল ২১ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলারে।

এর আগে মে ও জুন মাসের বিল বাবদ গত জুলাই মাসে আমদানি দায় ১০৯ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়েছিল। ওই সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসে। একই মাসে আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক নিয়মে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের তথ্য প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তখন দেশে প্রকৃত রিজার্ভ ২ হাজার ৩৫৬ কোটি (২৩.৫৬ বিলিয়ন) ডলারে অবস্থান করছিল।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন