আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় আর মাত্র পাঁচ দিনের খাবার মজুত আছে। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) নির্বাহী পরিচালক সিন্ডি ম্যাককেইন এক বিবৃতিতে এ তথ্য দিয়েছেন।
রোববার (৫ নভেম্বর) এআরওয়াই নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ডব্লিউএফপির তথ্যানুসারে গাজায় বর্তমানে যে পরিমাণ খাবার মজুত আছে, তা দিয়ে আর মাত্র পাঁচদিন চলবে।
ডব্লিউএফপি জানায়, ‘গাজায় রুটির মজুত দিন দিন কমছে। উপত্যকাটির একমাত্র অপারেটিভ মিলটি বিদ্যুৎ ও জ্বালানির অভাবে গম পিষতে পারছে না। এছাড়াও গত এক মাসে ইসরাইলি বাহিনী ১১টি বেকারি ধ্বংস করেছে।’
ডব্লিউএফপির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘গাজার বাস্তুচ্যুতদের রুটি কেনার জন্য বেকারিতে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। এ সময়ও অনেকে ইসরাইলি বিমান হামলায় নিহত ও আহত হচ্ছেন। এছাড়াও স্থল অভিযানের তীব্রতা বাড়ার কারণে গত কয়েকদিন খাদ্য সহায়তা বিতরণ পুরোপুরি বন্ধ ছিল।’
সিন্ডি ম্যাককেইন আরও বলেন, ‘এ মুহূর্তে গাজার মা-বাবারা জানেন না যে, তারা তাদের সন্তানদের মুখে খাবার তুলে দিতে পারবেন কি-না বা তারা আগামীকাল বেঁচে থাকবেন কি-না।’
এছাড়াও বিশ্বের কাছে গাজায় ত্রাণ সহায়তা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে ভয়াবহ সংকটের মধ্যে থাকা গাজাবাসীদের জন্য আমি সাহায্য প্রার্থনা করছি।’
গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় অবিরাম বোমা বর্ষণ করছে ইসরাইলি বাহিনী। সংঘর্ষ শুরুর দিন থেকেই গাজায় বিদ্যুৎ,পানি ও জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে নেতানিয়াহু সরকার। এছাড়াও তারা ওই অঞ্চলের টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ করে দিয়েছে।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, চলমান এ সংঘাতে এখন পর্যন্ত ৯ হাজার ৭৭০ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৪ হাজার ৮টিই শিশু।