রিপন হোসেন সাজু, মনিরামপুর (যশোর) :
আর মাত্র একদিন পর শুরু হতে যাচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা। যশোরের মনিরামপুর ও অভয়নগর উপজেলার ৯৬ গ্রামের প্রাণকেন্দ্র বলে খ্যাত মশিয়াহাটীতে ১০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে শারদীয় শততম দূর্গোৎসবের সকল প্রস্তুতি শেষ।
মনিরামপুর উপজেলা সদর থেকে ১২ কি.মি. পূর্বে নেহালপুর-কালীবাড়ি মোড় ঘুরে ন’পাড়া সড়কের মশিয়াহাটী বাজারে তৈরী করা হয়েছে প্যান্ডেল। বুধবার মন্ডপ এলাকা ঘুরে দেখা যায়, প্রতিমা তৈরী, আলোকসজ্জা ও প্যান্ডেল নির্মাণের কাজ শেষ। দুই উপজেলার ১৪ গ্রামের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের একমাত্র দুর্গাপূজা উদ্যাপিত হয় মশিয়াহাটীতে। এবারের দূর্গোৎসব গতবারের তুলনায় আরও ভিন্ন আঙ্গিকে উদ্যাপিত হতে যাচ্ছে। সে কারণে এবারের পূজার আমেজ শুরুও হয়েছে বেশ খানিকটা আগে। পূজা মন্ডপে দুর্গা প্রতিমাসহ ৩০১ টি দেবদেবীর প্রতিমা তৈরী করা হয়েছে। পৌরানিক কাহিনীকে প্রতিমায় রূপ দিয়ে সাজানো হয়েছে মন্দির চত্বর ও মশিয়াহাটী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ। আর এইসব প্রতিমা তৈরীতে নিরলসভাবে কাজ করেছে খুলনা জেলার কয়রার অজিত ও তার দলবল। মন্ডপের মূল গেট থেকে রাস্তার দুইপাশে প্রায় অর্ধ কি.মি জুড়ে থাকছে মশিয়াহাটীর স্বপ্না ডেকোরেটর ও লাইটিং এর আলোকসজ্জা। সারিসারি প্রতিমাসহ থাকছে অতিথিদের আপ্যায়নের জন্য অভ্যর্থনা ম ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য মশিয়াহাটী কলেজ মাঠকে সাজানো হয়েছে দৃষ্টিনন্দনভাবে। ১০০ বছর পূর্তিতে থাকছে ৫ দিন ব্যাপি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
মশিয়াহাটী সার্বজনীন দুর্গাপূজা উদ্যাপন কমিটির সম্পাদক ফাল্গুন মন্ডলের সাথে আলাপকালে জানা যায়, এবারের পূজার আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে ২০ লক্ষ টাকা। যা এ যাবতকালের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। মশিয়াহাটী পূজা উদ্যাপন কমিটির সভাপতি শেখর চন্দ্র রায় মশিয়াহাটীর সকলকে এবারের পূজায় সার্বিক সহযোগিতার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, আশা করছি খুলনা বিভাগের সর্ববৃহৎ দূর্গাপূজার আয়োজন হবে এবার মশিয়াহাটীতে।
মনিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (সার্বিক) শেখ মনিরুজ্জামান জানান, এবারের দুর্গাপূজায় দর্শনার্থীদের জন্য সর্বোচ্চ কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকবে।