হোম রংপুর চলাচলের সরকারি রাস্তা বেড়া দিয়ে দখল করলেন শিক্ষক

অনলাইন ডেস্ক:

রংপুর জেলার হারাগাছ থানার বানুপাড়া মৌজার সরকারি সম্পত্তি অবৈধভাবে ভোগদখল ও প্রভাব খাটিয়ে রাস্তা বন্ধের অভিযোগ এনে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছে এলাকাবাসী।

সরেজমিনে গিয়ে এলাকাবাসীর কাছে জানা যায়, হারাগাছ থানার বানুপাড়া মৌজায় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন সরকারি রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন অনেক মানুষ রাস্তাটি ব্যবহার করে থাকে। যেখান দিয়ে প্রতিদিন রিকশা, বাইসাইকেল, মোটর সাইকেল চলাচল করে এবং আশপাশের জমির চাষাবাদের ফসল আনা নেওয়ার জন্য এ রাস্তা ব্যবহার হয়।

কিন্তু বিগত ১৬ সেপ্টেম্বর আনুমানিক সকাল ১১ টায় হারাগাছ থানার মুন্সিপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. সফিজ উদ্দিন নিজের জমির পাশ দিয়ে যাওয়া রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়। এতে করে গ্রামবাসীর চলাচলসহ নানাবিধ অসুবিধা সৃষ্টি হয়।

বানুপাড়া নদীপাড় গ্রামের ভুক্তভোগী বাসিন্দা মো. ছামছুল হক সময় সংবাদকে বলেন, ‘আমরা এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ ওই শিক্ষকের কাছে রাস্তা বন্ধ করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বিভিন্ন ভাষায় গালিগালাজসহ এলাকাবাসীকে হুমকি দেন। এছাড়া আরও জমি দখলসহ টাকা পয়সার বিনিময়ে মামলা মোকদ্দমার ভয়ভীতি দেখায়। বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে হারাগাছ পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মাসুদার রহমানকে অবগত করা হয়। তিনি সামান্য কিছু বৈধ জমি ক্রয় করে অবৈধভাবে খাল সংলগ্ন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৫০ শতক জমি দখল করে আছে। আমাদের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি বন্ধ করায় বেশ কয়েকটি পরিবার একেবারে ঘরবন্দি অবস্থায় চরম দুর্ভোগে আছে।’

এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে কথা হয় মুন্সিপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. সফিজ উদ্দিনের সঙ্গে।

তিনি বলেন, ‘সরকারি জমি অন্যরা ভোগ দখল করে খাচ্ছে, তাই আমিও আমার জমির পাশের রাস্তা হওয়ায় আমি বেড়া দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছি। সরকারি জমি যদি অন্যরা ভোগ দখল করতে পারে তাহলে আমি পারব না কেন? এই বলে রাগ দেখিয়ে ফোন কেটে দেন তিনি।

ভুক্তভোগী এলাকাবাসীর অভিযোগের বিষয়ে কাউনিয়া উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মহিদুল হক সময় সংবাদকে বলেন, ‘সরকারি সম্পত্তি অবৈধভাবে ভোগদখলের একটা অভিযোগ পেয়েছি। আমি এসিল্যান্ডের কাছে অভিযোগ কপিটি দিয়েছি। তিনি প্রশাসনকে সঙ্গে জায়গাটি পরিদর্শন করে রিপোর্ট জমা দেবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘কেউ যদি সরকারি জমি অবৈধভাবে ভোগদখলের চেষ্টা করে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। সরকারি জমি কেউ ভোগদখল খেতে পারবে না।’

এ বিষয়ে হারাগাছ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজ্জামেল হক বলেন, ‘আমরা এই বিষয়ে মৌখিকভাবে একটি অভিযোগ পেয়েছি। যদি সেটা উপজেলা প্রশাসন আমদের অবগত করে তাহলে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন