আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হামলায় ইসরাইলে প্রাণহানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০০ জনে, আহত হয়েছেন দুই হাজারের বেশি। আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
রোববার (৮ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে হতাহতের এ সংখ্যা জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরাইল।
পবিত্র আল-আকসা মসজিদে হামলা এবং অবৈধ বসতি স্থাপনের জবাব দিতে শনিবার (৭ অক্টোবর) ভোর থেকে ইসরাইলের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলা শুরু করে হামাস।
হামাসের হামলায় প্রথমে ২৬ সেনা নিহতের তথ্য জানিয়েছিল ইসরাইলি সেনাবাহিনী। তবে রোববার ইসরাইল সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে, হামলায় তাদের ৪৪ জন সেনা ও অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর ৩০ সদস্য নিহত হওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তারা পুলিশ, সীমান্তরক্ষী এবং সন্ত্রাসবিরোধী বাহিনী ইয়ামামের সদস্য ছিলেন।
দ্য ডেইলি জেরুজালেম পোস্ট এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, হামাসের হামলা শুরু হওয়ার পর কমপক্ষে ৭৫০ ইসরাইলি নিখোঁজ রয়েছেন।
এদিকে, ইসরাইলি বাহিনীর পাল্টা হামলায় গাজায় ৩১৩ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় ২ হাজার মানুষ।
ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, ইসরাইলি হামলায় দক্ষিণে রাফাহ থেকে উত্তরে বেইট হানুন এলাকা পর্যন্ত বেশ কয়েকটি শহরে বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। গাজা ভূখণ্ডে ইসরাইলি হামলায় নিহতদের মধ্যে ২০ শিশুও রয়েছে।
অন্যদিকে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গাজার বাসিন্দাদের ঘরবাড়ি ছাড়তে বলেছে ইসরাইল। ইসরাইলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, ‘গাজা সীমান্তের কাছে যারা বসবাস করেন, তারা যেন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঘরবাড়ি ছেড়ে দেন। আমরা সব সন্ত্রাসীকে শেষ করার জন্য প্রত্যেক শহরে যাবো।’
ইসরাইলের পক্ষ থেকে হামলার সতর্ক বার্তা আসার পর গাজার নাগরিকদের অনেকে এরই মধ্যে তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলগুলোতে আশ্রয় নেয়া শুরু করেছে বলে বিবিসিকে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।