হোম খুলনাঝিনাইদহ কালীগঞ্জে ইন্টারনেট সেবায় জনপ্রিয় হয়েছে ফ্রিল্যান্সিং ,কমেছে বেকারত্ব

শিপলু জামান ,কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ):

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায় দিন-দিন বাড়ছে ফ্রিল্যান্সিং ও আউট সোর্সিং কাজের পরিধি ।দেশের বিপুল সংখ্যক বেকার যুবকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে ফ্রিল্যান্সিং ।আর এ ফ্রি ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজকে সহজ ও জনপ্রিয় করেছে ইন্টারনেট সেবা ।ইন্টারনেট সেবার কারনে প্রত্যন্ত গ্রাম-অ লে ঘরে বসেই উপর্জন করছেন শিক্ষিত তরুন-তরুনীরা ।ইন্টারেনেট সেবায় ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে উপর্জন হওয়ায় ঝিনাইদহের তরুন-তরুনীরা বেশ আগ্রহী হয়ে পড়েছেন ফ্রিল্যান্সিং ও আউট সোর্সিংয়ের দিকে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে কার্যকর ও টেকসই পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার ।

এরই ধারাবাহিকতায় শহরের পাশাপাশি প্রত্যন্ত গ্রাম অ লেও ইন্টারনেট সেবার ব্যবস্থা করেছে সরকার ।ইন্টারনেট সেবার পরিধি বেড়ে যাওয়ায় বেকার যুবকদের উপার্জন বেড়েছে ।সমিক্ষা বলছে ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে দেশে বেকার-যুবকরা প্রতিবছর ৫০০ বিলিয়ন ডলার আয় করছে।যা বৈদেশিক রেমিটেন্স অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছে । এক দশক আগেও অনেকে বাড়ি বসে ইন্টারনেট ব্যবহার করে উপর্জনের কথা হয়তো কমই ভেবেছে ।আজ সেই ইন্টারনেট ব্যবহার করে ফ্রিল্যান্সিং ও আউট সোর্সিংয়ের কাজ করা যায় ঘরে বসেই ।বিশেষ করে এ উপজেলায় তরুন-তরুনীদের ফ্রিল্যান্সিংয়ের দিকে ব্যাপক আগ্রহ পরিলক্ষিত হচ্ছে।এ উপজেলার সফল ফ্রিল্যান্সার পারভেজ হাসান বনি জানান ,আমি ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করি দীর্ঘ দিন ।মাসিক একটা ভাল উপার্জন হয় ।এ কাজটি ভাল ।আমি মনে করি সবার এ কাজে যুক্ত হওয়া উচিত ।কালীগঞ্জ উপজেলার ফ্রিল্যান্সিং ও আউট সোর্সিং কাজে নতুন যুক্ত হওয়া তাবাসসুম আরা জানান ,ভবিষ্যত পরিকল্পনা চাকুরি করা ।এখন বাড়ি বসে ওয়েব ডিজাইনের কাজ করছি ও চাকুরির প্রস্তুতি নিচ্ছি ।

উপজেলার হাঙ্গার ফ্রি ওয়ার্ল্ড কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারের ইনচার্জ ও ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষক শাহজাহান আলী বিপাশ জানান , প্রথমে আমাদের উদ্দেশ্য ছিল কালীগঞ্জের যুবক বা তরুন তরুনী যারা কম্পিউটার শিখতে চায় তাদেরকে এ কম্পিউটার প্রশিক্ষনের আওতায় নিয়ে আসা ।আমাদের প্রথম স্লোগান ছিল নেশা ছেড়ে আসুন কম্পিউটার নেশায় পড়ি । সেখান থেকে এখন আমরা প্রতি বছর প্রায় ৫০০ জন শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষন দিয়ে আসছি ।যাদের চাকুরি হয়নি তারা নিজেরাই আউট ফ্রিল্যান্সিং ও সোর্সিংয়ের মাধ্যমে উপার্জন করছে ।

কালীগঞ্জ উপজেলার মেয়র আশরাফুল আলম আশরাফ বলেন ,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষনা করেছিলেন ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার। তারই ধারবাহিকতায় আমাদের কালীগঞ্জ উপজেলায় ১ টি পৌরসভা ও ১১ টি ইউনিয়নের প্রতিটি ঘরে ঘরে মানুষ ইন্টারনেট সেবা নিচ্ছে । সেকারনে আমরা দেখতে পাচ্ছি ইন্টারনেট ব্যবহার করে অনেক শিক্ষিত যুবক-যুবতি ঘরে বসে আয় আয় করছে ।আমি আশা করছি প্রধানমন্ত্রী যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, কোন বাড়িতে শিক্ষিত বেকার যুবক যুবতি বেকার থাকবে না সেটা উনি বাস্তবে রুপ দিচ্ছেন ।শুরুতে যারা ডিজিটাল সেবাকে ব্যঙ্গ করেছিল ,তারাও এটার সেবা নিচ্ছে ।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন