হোম অর্থ ও বাণিজ্য সেপ্টেম্বরে রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধি ১০ দশমিক ৩৭ শতাংশ

অর্থনীতি ডেস্ক:

সদ্যবিদায়ী সেপ্টেম্বর মাসে দেশের পণ্য রফতানি আয় বেড়েছে। গত বছরের তুলনায় চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০ দশমিক ৩৭ শতাংশ। তবে পূরণ হয়নি রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা।

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়েছে, সদ্যবিদায়ী সেপ্টেম্বর মাসে দেশের রফতানি আয় ১০ দশমিক ৩৭ শতাংশ বেড়েছে। এ সময় রফতানি আয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৩১০ দশমিক ৩৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৩ হাজার ৯০৫ দশমিক শূন্য ৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

তবে সেপ্টেম্বর মাসে পূরণ হয়নি রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা। এ মাসে বাংলাদেশের রফতানি লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ হাজার ৬৩৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই লক্ষ্যমাত্রা থেকে ৭ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ কম রফতানি আয় হয়েছে।

ইপিবি জানায়, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসে তৈরি পোশাক, ওষুধ এবং চামড়াসহ ২৭ ধরনের পণ্য বিশ্ববাজারে রফতানি হয়েছে। এ সময় বাংলাদেশ থেকে রফতানি হয়েছে ১৩ হাজার ৬৮৫ দশমিক ৪৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ দশমিক ৫১ শতাংশ বেশি।

তৈরি পোশাক খাত
এদিকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে তৈরি পোশাক (আরএমজি) রফতানি আয় ১৩ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৬১৭ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলারে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ কম।

তৈরি পোশাক খাতের রফতানি আয়ের মধ্যে ৬ হাজার ৭৬২ দশমিক ৫৯ মিলিয়ন ডলার এসেছে নিটওয়্যার রফতানি থেকে, যা ১৯ দশমিক ৭০ শতাংশ বেড়েছে। এ ছাড়া ৪ হাজার ৮৫৪ দশমিক ৯১ মিলিয়ন এসেছে ওভেন পোশাক রফতানি থেকে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ বেশি।

ইপিবির তথ্যানুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে অন্যান্য উল্লেখযোগ্য খাতের মধ্যে কৃষিপণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য ও হোম টেক্সটাইলের রফতানি কমেছে। হোম টেক্সটাইলের রফতানি আয় ৪৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৮৯ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলারে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ৩১ দশমিক ৯৯ শতাংশ কম।

এ ছাড়া জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে কৃষিপণ্যের রফতানি আয় ৫ দশমিক ২ শতাংশ কমে ২৫৭ দশমিক ৪৯ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য ১৮ দশমিক ৪৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ২৬৭ দশমিক ৪৯ মিলিয়ন ডলারে, যা গত অর্থবছরে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে ছিল ৩২৭ দশমিক ৯৭ মিলিয়ন ডলার।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন