জাতীয় ডেস্ক:
দুর্ঘটনা কিংবা আগুন লাগার মতো জরুরি পরিস্থিতি সামাল দেয়ার অ্যাকশন প্ল্যান তৈরিতে নিরাপত্তা জনিত ট্রায়াল অনুষ্ঠিত হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলে।
সোমবার (২ অক্টোবর) সকালে টানেলের প্রকল্প পরিচালক হারুনুর রশিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
ফায়ার সার্ভিস, পুলিশের সমন্বয়ে ইমার্জেন্সি মুডে এ ট্রায়াল অনুষ্ঠিত হয়েছে। পাশাপাশি ২৮ অক্টোবর উদ্বোধন ঘিরে নিরাপত্তা তদারকি করছে পুলিশ।
সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২৮ অক্টোবরই উদ্বোধন হচ্ছে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু টানেল। প্রস্তুতি শেষ করে আনতে, সোমবার সকালে টানেলে শুরু হয় ট্রায়াল রান। এদিন টানেলের ভেতরে প্রবেশ করে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি।
ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক জানান, মূলত, দুটি টিউবে কোনো দুর্ঘটনা, বিস্ফোরণ কিংবা আগুনের ঘটনায় দ্রুত কীভাবে পরিস্থিতি সামলানো যাবে- তার মহড়ায় অংশ নেয় দমকল, পুলিশ ও নৌবাহিনীর ফায়ার ফাইটারের সদস্যরা। এই ট্রায়াল রানেই চূড়ান্ত হবে জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলার অ্যাকশন প্লান। উদ্বোধনের আগে এটিই চূড়ান্ত ট্রায়াল বলে জানান তিনি।
মহড়া দেখতে টানেল এলাকায় উপস্থিত ছিলেন সাবেক মন্ত্রী পরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব মঞ্জুর হোসেন, টানেলের প্রকল্প পরিচালক হারুনুর রশিদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। অগ্নিকাণ্ডের পাশাপাশি পুলিশের নিরাপত্তা বিষয়ক আনুষ্ঠানিকতা অনুষ্ঠিত হয় টানেল এলাকায়।
সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মাহতাব উদ্দীন জানান, ২৮ অক্টোবর টানেল উদ্বোধন হবে। এই কারণে টানেলের চারপাশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজাতে এই প্রস্তুতি।
এছাড়া টানেলের অভ্যন্তরে যে কোন দুর্ঘটনা ঘটলে কিংবা আগুন লাগলে কিভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়, সেই জন্য অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা জনিত ট্রায়াল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
চীনের সাংহাইয়ের আদলে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে তিন দশমিক ৪৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই টার্মিনাল নির্মাণে ব্যয় ১০ হাজার ৬৮৯ কোটি টাকা। মেগা প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে চায়না কমিউনিকেশন অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি। আগামী পাঁচ বছর টানেলটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বেও থাকবে প্রতিষ্ঠানটি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, টানেলটি নদীর পৃষ্ট থেকে ১৮ থেকে ৩১ মিটার গভীরে স্থাপন করা হয়েছে। ভূমিকম্প কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগেও এই টানেল নিরাপদ থাকবে। বড় ধরনের কোন জলোচ্ছ্বাসের পূর্বাভাসে যান চলাচল ও দুই টিউবের মুখে বন্ধ থাকবে ফ্লাড গেইট। পানি অপসারণে টিউবের ভেতর বসানো হয়েছে ৫২টি পাম্প। উদ্বোধনের পরদিন যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হলে, ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার গতিবেগে চলবে গাড়ি।