আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
সম্প্রতি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে (ডিএসএ) প্রতিস্থাপন করে সাইবার নিরাপত্তা আইন (সিএসএ) বাস্তবায়ন করা হয়েছে। কিন্তু নতুন এ আইনটি নিয়ে সংবাদমাধ্যমকর্মী ও মানবাধিকারকর্মীদের মাঝে এখনও অসন্তুষ্টি রয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতে, এ আইনটিতে সাজা কমানো হয়েছে।
মার্কিন গণমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রসঙ্গে এ কথা বলেন তিনি। শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সংবাদমাধ্যমটি প্রধানমন্ত্রীর এ সাক্ষাৎকার প্রচার করেছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিতর্কিত ধারা ৪৩, এবার সাইবার নিরাপত্তা আইনের ধারা ৪২ হিসেবে যুক্ত হয়েছে। সিএসএর ধারা ৪২ অনুযায়ী পুলিশের ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের পরোয়ানা ছাড়াই তল্লাশি, জব্দ এবং গ্রেফতার করার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। কিন্তু আইনটিতে বিরোধীদলীয় কর্মী বা ভিন্ন মতাবলম্বীরা যাতে এ ধারার অপপ্রয়োগ থেকে সুরক্ষা পায় সেজন্য কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি। এ ছাড়াও পুলিশের জবাবদিহিতার কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি। পুলিশকে এতটা ক্ষমতা দেয়া কতটা যুক্তিযুক্ত, সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটা ভুল। আমাদের দেশে পুলিশ কোনো আপরাধ করলে সেটার জন্য আলাদা আইন আছে। ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী যে আইন প্রচলিত রয়েছে এখানে সেটাই আছে।’
কেন পরোয়ানাবিহীন গ্রেফতারকে নতুন এ আইনে রাখা হলো তার ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, ‘কারও অপরাধ পুলিশ যদি তাৎক্ষণিকভাবে না ধরতে পারে তাহলে অপরাধী ওই সময়ের মাঝে প্রমাণ মুছে ফেলতে পারবে। এ বিষয়টা আমাদের মাথায় রাখতে হবে।’
নতুন আইন দেশের মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে, সন্ত্রাস জঙ্গীবাদ দমনের স্বার্থে এবং মানবাধিকার সুরক্ষিত করার জন্যই করা হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আগের আইনটি নিয়ে আপত্তি থাকায় আমরা তা বাতিল করেছি। সবার কথাই রাখা হয়েছে। শুধু বাংলাদেশের না, বিশ্বের অন্যান্য দেশের আইনগুলো দেখে পূর্বের আইন সংশোধন করে সাইবার নিরাপত্তা আইন তৈরি করা হয়েছে। সাজাও কমানো হয়েছে।’
চলতি বছরের ৭ আগস্ট ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮’ বাতিল করে, এর বদলে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩’ নামে নতুন আইনটি মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদন লাভ করে। সে সময় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গণমাধ্যমকে আশ্বাস দিয়েছিলেন এ ধারা দ্বারা কোনো গণমাধ্যমকর্মী হয়রানির শিকার হবে না।