আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই এবার নিজেদের সামরিক শক্তি প্রদর্শন করলো দক্ষিণ কোরিয়া। সেনাবাহিনীর ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গেল এক দশকের মধ্যে মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) প্রথমবারের মতো সামরিক কুচকাওয়াজের আয়োজন করে সিউল। এতে অংশ নিয়েছে মার্কিন সেনাবাহিনীও।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, সেনাবাহিনীর ৭৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত প্যারেডে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইওন সুক ইওল। এসময় পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার করলে পিয়ংইয়ংকে দাঁতভাঙা জবাব দেয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রকে সঙ্গে নিয়েই উত্তর কোরিয়াকে মোকাবিলা করা হবে বলেও মন্তব্য করেন ইওন সুক ইওল।
তিনি বলেন, পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারে উত্তর কোরিয়া প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছে। যা বিশ্বের জন্য হুমকি। তারা উসকানি দিলে আমরাও বসে থাকবো না। দেশটি পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করলে যুক্তরাষ্ট্রকে সঙ্গে নিয়ে তাদের প্রতিহত করা হবে।
আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা স্বত্ত্বেও দফায় দফায় ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ থেকে কোনোভাবেই দমানো যাচ্ছে না উত্তর কোরিয়াকে। আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, পানির তলদেশ থেকে পারমাণবিক হামলা চালাতে সক্ষম ড্রোনসহ বিভিন্ন ধরণের পরীক্ষা চালিয়ে খবরের শিরোনামে থাকছে।
কোরীয় উপদ্বীপে উত্তর কোরিয়ার সামরিক শক্তি প্রদর্শনের খেলায় উত্তেজনার পারদ যখন তুঙ্গে, ঠিক তখনই পিয়ংইয়ংকে রুখতে আরও একবার দাপট দেখালো যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া।
এসবের মধ্যেই উত্তর কোরিয়ার দাবি, কোরীয় উপদ্বীপে পরমাণু যুদ্ধের মতো পরিবেশ সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে ওয়াশিংটন ও সিউল।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে দেয়া বক্তব্যে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, কোরীয় উপদ্বীপে অস্থিতিশীলতা তৈরি করা হচ্ছে বলেই নিজ ভূখণ্ড রক্ষার স্বার্থে সামরিকখাত ঢেলে সাজাচ্ছে পিয়ংইয়ং।