হোম অন্যান্যসারাদেশ ছলিমপুর এ,কে খান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ 

কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি:

সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় দেয়াড়া ইউনিয়নের ছলিমপুর এ,কে খান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে কমিটির সভাপতি কৃতক শিক্ষকদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উটেছে।

এ কে খান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মাহফুজা সুলতানা রুবি বিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবুল হোসেন কে ছয়টি অপরাধে কারণ দর্শনের নোটিশ প্রদান করে ২৬/০৭/২৩ তারিখে অভিযোগগুলো হলো :

১. ২৩ শে জুলাই রবিবার থেকে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান কার্যক্রম চালু করার নির্দেশনা থাকলেও সরকারি আদেশ অমান্য করে সেই দিন প্রতিষ্ঠানটিতে কোন শিক্ষক শিক্ষিকা ছাত্র-ছাত্রী এবং কর্মচারীবৃন্দ কেউ উপস্থিত ছিল না ও জাতীয় পতাকাটি উত্তোলন করা হয়নি
২. অর্থ আত্মসাৎ
৩. এসডিজি ডিজিটাল কর্নার মুক্তিযোদ্ধা কর্নার সংরক্ষিত বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চ ঐতিহাসিক ভাষণের ছবি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ছবি মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক জাতীয় গ্রাম্য চিত্র অপসারণ করে নৈশো প্রহরীকে থাকার ব্যবস্থা করে দেয়।
৪. সভাপতি অনুমতি না নিয়ে বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক দেশের বাহিরে ভারতে চলে যায়।
৫. জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত বই পিতা তুমি বাংলাদেশ বইটি বিদ্যালয়ের সংরক্ষণ করার জন্য জেলা শিক্ষা অফিসারের আদেশ থাকার সত্বেও বইটি ফেরত দেওয়া হয়।
৬. বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা কমে যাওয়ার বিষয়ে প্রধান শিক্ষকে ৭ দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়।

সভাপতি মাহফুজা সুলতানা রুবি ২০শে বুধবার দুপুর ১২টায় সেপ্টেম্বর বিদ্যালয়ের মিটিং হয়। এসময় সভাপতি নিজে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবুল হোসেন নিজের ইচ্ছা মতো প্রতিষ্ঠান চালাইছেন কোন বিষয়ে আমার কিছু বলার প্রযোন মনে করেন না। তার বিরুদ্ধে অনিয়মের কারণ জানতে নোটিশ দেওয়া হলে তিনি সেখানে সভাপতিকে অপমান জনক বক্তব্য প্রদান করেছেন। সভাপতি মাহফুজা সুলতানা রুবি সাংবাদিকের কাছে বলেন এটা আমার নানার প্রতিষ্ঠান যা এতদিন আমার মামা পরিচালনা করে আসছেন।আমি এটার সভাপতি হওয়ার পর থেকে শিক্ষকরা আমারকে কোন অবহিত করেন না এখনো পর্যন্ত একটা মিটিং করতে পারে নাই।

সরজমিনে সাংবাদিকরা গেলে দেখাযায় এসডিজি ডিজিটাল কর্নার মুক্তিযোদ্ধা কর্নার সংরক্ষিত বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চ ঐতিহাসিক ভাষণের ছবি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ছবি মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক জাতীয় গ্রাম্য চিত্র রাখার জন্য যায়গা করা হয়েছে সিঁড়িঘরে। বঙ্গবন্ধুর মতো একজন বাঙালি আবেগের যায়গা হয়নি কোন রুমে। কিছু বই সাজিয়ে গুছিয়ে রাখা হয়েছে সিঁড়ির উপরে যেন সেগুলো বইয়ের তাক।অপসারণ করে নৈশো প্রহরীকে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু ছবির পাশে নৈশো প্রহরীর টিভি দেখার ব্যাবস্থা ও আছে।

বর্তমান সরকার যখন বিজ্ঞান প্রযুক্তি জন্য লক্ষ লক্ষ টাকার উপকরণ দিয়েছে সে গুলো পরে আছে সেই ভাবে এখনও কোন শিক্ষক বা ছাত্র হাত দেওয়ার সুযোগ হয়নি।

এই বিষয়ে অভিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবুল হোসেন এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে সরব ভিত্তি হীন। সাবেক প্রধান শিক্ষক হেড মাস্টার বাবু এই পর্যন্ত আমাকে খাতা কাগজ বুঝে দেইনি। এমনকি তিনি আমাদের শিক্ষকদের আলমারির চাবি কিছু এখনো তিনি দেননি। এমনকি সাবেক প্রধান শিক্ষক নিজে নৈশপ্রহরীকে এসডিজি ডিজিটাল কর্নার মুক্তিযোদ্ধা কর্নার সংরক্ষিত বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চ ঐতিহাসিক ভাষণের ছবি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ছবি মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক জাতীয় গ্রাম্য চিত্র অপসারণ করে থাকার ব্যাবস্থা করেন।

এবিষয়ে অন্যান্য শিক্ষক,শিক্ষকা ও ছাত্রছাত্রী একই বক্তব্য প্রদান করেন।

এই বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে গেলে তার ফোন নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন