অনলাইন ডেস্ক:
দীর্ঘ দুই দশক পর দখল-দূষণে হারিয়ে যাওয়া মেড্ডা শশ্মান ঘাট খাল পুনরুদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা। ময়লা-আর্বজনায় ভরাট হয়ে যাওয়াতে এই খালটিই শহরের জলাবদ্ধতার অন্যতম কারণ ছিল। এবার খাল পুনরুদ্ধারে আশার আলো দেখছেন স্থানীয়রা।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর থেকে শহরের উত্তর অংশে মেড্ডা শশ্মানঘাট খালটি পুনরুদ্ধার কার্যক্রম শুরু হয়।
শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে দ্বিতীয় দিনের মতো অভিযান শুরু করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা। বিলম্বে হলেও পৌরসভার এ কার্যক্রমে খুশি স্থানীয়রা।
স্থানীয় বাসিন্দা মো.বাবুল মিয়া বলেন, ‘এক সময় খরস্রোতা খালটি দিয়ে নৌকা আসতো। কিন্তু গত দুই দশকের ব্যবধানে খালটি দখল-দূষণে ভরাট হয়ে গেছে। এর আগে সৌন্দর্য বর্ধনের নামে বিগত সরকারের সময়ে খালটিকে ড্রেনে পরিণত করার মাধ্যমে পৌর কর্তৃপক্ষ নিজেই খালটিকে হত্যা করে। এখন খালটি পরিস্কার করা হচ্ছে। এটি মন্দের ভাল।’
স্থানীয় বাসিন্দা ফারুক মুজুমদার বলেন, মেড্ডা এলাকায় অল্প বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। খালটি পরিস্কার করার কারণে পানি সহজে নামতে পারবে। এটি আরও আগে করা উচিত ছিল। তবে উচ্ছেদ আর পরিস্কারের মধ্যেই যেন সিমাবদ্ধ না থাকে, খালের তীর সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণের দাবি তার।
পৌরসভার সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর (১.২.৪ নম্বর ওয়ার্ড) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র হোসনে আরা বাবুল বলেন, জলাবদ্ধতা আর দখল-দূষণের কারণে স্থানীয় বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল খালটি খনন এবং পুনরুদ্ধার করা। আমরা এলাকাবাসীর দাবির সাথে একাত্মতা পোষণ করে তাদের সাথে নিয়েই খালটি পরিষ্কার এবং দখলমুক্ত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি। যার প্রতিফলন আজকের পুনরুদ্ধার কার্যক্রম।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল কুদ্দূস জানান, দখল-দূষণে ভরাট প্রকৃতির চিরচেনা খালটির স্বরূপ ফেরাতে পৌরসভার এই উদ্যোগ। পর্যায়ক্রমে শহরের প্রতিটি খালই পুনরুদ্ধার করা হবে বলেও জানান তিনি।
দখলের কবলে পড়া শহরের চারটি খালের মধ্যে মেড্ডা শশ্মান ঘাট খালটির দৈর্ঘ্য প্রায় দেড় কিলোমিটার। এরিমধ্যে অন্তত ৫০০ মিটার খাল দখলমুক্ত করা হয়েছে।