স্পোর্টস ডেস্ক:
বিশ্বকাপের আগ মুহূর্তে এত পরীক্ষা-নিরীক্ষায় টিম ম্যানেজমেন্টের ওপর বিরক্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালকদের অনেকে। আরও আগেই কম্বিনেশন ঠিক করা উচিত ছিল, মত আকরাম খানের।
তবে, এশিয়া কাপের পারফরম্যান্সে ভেঙে না পড়ে, ভারতের বিপক্ষে সর্বোচ্চ চেষ্টার আহ্বান জানান তিনি। ভারতকে হারাতে পারলে ক্রিকেটাররা মানসিকভাবে আবারও উজ্জীবিত হয়ে উঠবে বলেই আশা সাবেক অধিনায়কের।
অতি পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ভারসাম্যহীন বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের আসরের মধ্য দিয়ে দু’একটা জায়গায় যে সমস্যা আছে, তা সমাধানের টার্গেট অন্য দলগুলোর। কিন্তু, বাংলাদেশের কাছে এশিয়া কাপের পুরোটাই যেন এক্সপেরিমেন্টাল ইভেন্ট।
অনেক আশা দেখিয়ে ইমার্জিং এশিয়া কাপে ভালো করা তানজীদ তামিমকে নিয়ে গেলেও খেলানো হয়েছে মাত্র এক ম্যাচ। একাদশে লিটন দাস ফিরলেও, অস্থায়ী ওপেনার মেহেদী হাসান মিরাজকে দিয়ে কাজ চালানো হয়েছে। এমন নয় যে, ওপেনিংয়ের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনায় আছেন মিরাজ। তামিম ইকবাল ফিরলেই বদলে যাবে কম্বিনেশন ও অর্ডার। আবার বিশ্বকাপের পরিকল্পনায় থাকা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নেয়াই হয়নি বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য মহা গুরুত্বপূর্ণ আসর এশিয়া কাপে। হেডকোচ চান্ডিকা হাথুরুসিংহের এই এক্সপেরিমেন্ট মেথড পছন্দ হয়নি বিসিবির অনেক কর্মকর্তারই।
আকরাম বলেন, ‘এসব দলের বিপক্ষে এক্সপেরিমেন্ট কিন্তু কাজে আসবে না। তিন-চার চেষ্টা করলে হয়তো একবার সফল হতে পারে। কিন্তু এশিয়া কাপ-বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্টের জন্য বছর দুয়েক আগে থেকে দল সেট করে ফেলতে হবে। একজন-দুইজন ইনজুরিতে পড়তেই পারে। এক্সপেরিমেন্টটা পাঁচ-ছয় মাস আগে করলে ঠিক ছিল। শেষ মুহূর্তে এসে করলে দলের শক্তিটা কমে যায়।’
তবে, এত কিছুর পরও বিশ্বকাপের আগে টিমের হারমোনি নষ্ট হোক, চায় না কেউ। তাই কারও ওপর এক তরফা দোষ চাপিয়ে দিতে নারাজ আকরাম। বলেন, ড্রেসিংরুমের অফ মুড অন হয়ে যেতে পারে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ শেষেই।
তিনি বলেন, ‘ভারতকে যদি আমরা হারাতে পারি সেটা বিশ্বকাপের আগে দলকে অনেক উজ্জীবিত রাখবে। এসব দলকে আমরা আগেও হারিয়েছি। এখন হারাতে পারলে মানসিকভাবেও আমরা শক্তিশালী থাকব।’
ভারতের বিপক্ষে সবশেষ সিরিজ জয় থেকেই অনুপ্রেরণা খুঁজে নিচ্ছেন ক্রিকেট সংশ্লিষ্টরা। গত ডিসেম্বরে দুই দলের দেখায় ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ।