স্পোর্টস ডেস্ক:
কাতার বিশ্বকাপের পর প্রীতি ম্যাচ খেললেও আর প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলেনি আর্জেন্টিনা। ১৮ ডিসেম্বর লুসাইলের ফাইনালের পর প্রথমবারের মতো প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে মাঠে নামছে আলবিসেলেস্তেরা। বিশ্বকাপ শিরোপা ধরে রাখার মিশন শুরু হচ্ছে লিওনেল মেসিদের। শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে ইকুয়েডরের বিপক্ষে মাঠে নামছে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা।
কাতার বিশ্বকাপের পর চারটি প্রীতি ম্যাচ খেলে প্রতিটিতে সহজেই জয় পেয়েছে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। তবে এবার আসল পরীক্ষা মেসিদের। ২০২৬ সালে যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা ও মেক্সিকোয় বসছে বিশ্বকাপের পরবর্তী আসর। সে আসরে জায়গা করে নিতে বাছাই পর্বে অবতীর্ণ হচ্ছে দক্ষিণ আমেরিকার দলগুলো। এদের মধ্যে আর্জেন্টিনার বাছাই পর্বের মিশন শুরু হচ্ছে শুক্রবার ভোরেই। নিজেদের মাঠে ইকুয়েডরের বিপক্ষে লড়বে লিওনেল স্ক্যালোনির দল।
ইকুয়েডরের বিপক্ষে ম্যাচের আগে পরিসংখ্যান অবশ্য আর্জেন্টিনার পক্ষেই। দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে বড় ব্যবধানেই এগিয়ে আর্জেন্টিনা। ২০ বারের দেখায় ১১ বারই জয় পেয়েছে আর্জেন্টিনা। ৩ বার জয় পেয়েছে ইকুয়েডর। বাকি ৬ ম্যাচে জয় পায়নি কেউই। কাতার বিশ্বকাপ বাছাইয়ের শেষ ম্যাচে আর্জেন্টিনার মুখোমুখি হয়েছিল ইকুয়েডর। সে ম্যাচে অবশ্য জয় পায়নি কেউই।
সৌদি আরবের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের সেই হারের পর টানা ১০ ম্যাচ অপরাজিত আর্জেন্টিনা। আরেকটি বিশ্বকাপের আগে ফর্ম দারুণ কিছুর স্বপ্নই দেখাচ্ছে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থাকা আকাশি-সাদাদের। তবে বাছাই পর্বের এই ম্যাচে পূর্ণ শক্তির দল পাচ্ছে না আর্জেন্টিনা। ইনজুরির কারণে নেই পাওলো দিবালা ও এমিলিয়ানো বুয়েন্দিয়া। এছাড়া ফিটনেসের কারণে বাদ পড়েছেন মার্কোস আকুনিয়া, লুকাস ওকাম্পোস ও জিওভানি লো সেলসো।
ঘন ঘন ফর্মেশন বদলে কাতার বিশ্বকাপে ট্যাকটিশিয়ান হিসেবে চমক দিয়েছিলেন স্ক্যালোনি। বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের প্রথম ম্যাচে অবশ্য নিজের পছন্দের ৪-৪-২ ফর্মেশনেই দলকে খেলাবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
বরাবরের মতো গোলপোস্টের নিচে এমি মার্টিনেজের জায়গা পাকা। সেন্টারব্যাক হিসেবে টটেনহ্যামের ক্রিস্টিয়ান রোমেরোর পাশে বেনফিকার নিকলাস ওতামেন্ডিকে দেখতে পাওয়ার সুযোগই বেশি। তাদের দুই পাশে ফুলব্যাক হিসেবে নাহুয়েল মলিনা ও নিকলাস ট্যাগলিয়াফিকোর খেলাটা প্রায় নিশ্চিত।
মাঝমাঠে স্ক্যালোনির হাতে আছে বেশ কিছু বিকল্প। মাঝমাঠের ইঞ্জিন হিসেবে এঞ্জো ফার্নান্দেজের পাশে ম্যাক-অ্যালিস্টারকে দেখা যেতে পারে। ক্লাবের হয়ে সময়টা ভালোই কাটাচ্ছেন তারা। হোল্ডিং মিডফিল্ডার রদ্রিগো ডি পলও থাকছে বরাবরের মতো। তাদের সঙ্গে দেখা যেতে পারে নিকো গঞ্জালেসকে। স্কোয়াডে ডি মারিয়া থাকলেও তাকে শুরু থেকে নামানোর সম্ভাবনা কম।
ফরোয়ার্ড হিসেবে মেসির জায়গা নিশ্চিত। তার সঙ্গী হিসেবে স্ক্যালোনি লাউতারো মার্টিনেজ বা হুলিয়ান আলভারেজকে বেছে নিতে পারেন। আবার আলভারেজকে ওয়াইড মিডফিল্ডার হিসেবে খেলিয়ে লাউতারোকে স্ট্রাইকার হিসেবেও খেলাতে পারেন।
আর্জেন্টিনার সম্ভাব্য একাদশ: এমি মার্টিনেজ; নাহুয়েল মলিনা, ক্রিস্টিয়ান রোমেরো, নিকলাস ওতামেন্ডি, নিকলাস ট্যাগলিয়াফিকো; রদ্রিগো ডি পল, এঞ্জো ফার্নান্দেজ, অ্যালেক্সিস ম্যাক-অ্যালিস্টার, নিকো গঞ্জালেস; লিওনেল মেসি, লাউতারো মার্টিনেজ/ হুলিয়ান আলভারেজ।