হোম অন্যান্যসারাদেশ পাইকগাছায় ডিলারদের পর্যাপ্ত সার বরাদ্ধ না দেওয়ার অভিযোগ

পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি :

পাইকগাছায় ৩টি ইউনিয়নে বিসিআইসি সার ডিলারদেরকে ইউরিয়া সার বরাদ্ধ না দেয়া ও কম দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়কে কেন্দ্র করে কৃষি কর্মকর্তা ও সার ডিলারদের মধ্যে মতানৈক্য দেখা দিয়েছে। একে অপরের বিরুদ্ধে দোষারোপ করছেন।

জানাগেছে, উপজেলায় ১০টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা মিলে ১১ জন বিসিআইসি ডিলার রয়েছে। সরকার কর্তৃক বরাদ্দকৃত সার এসব ডিলারদের মধ্যে সমবন্টনের কথা থাকলেও পক্ষপাতিত্ব করে সার বন্টন করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত জানুয়ারী মাসে পাইকগাছা উপজেলায় ১৮০ মেঃ টন ইউরিয়া সার বরাদ্ধ পায় কৃষি অফিস সেই সার লস্কর, সোলাদানা ও লতা ইউনিয়নে কোন বরাদ্দ না দিয়ে অন্য ইউনিয়নে কম বেশি করে বন্টন করে উপজেলা কৃষি অফিস। এখানেই শেষ নয় ফেব্রুয়ারী মাসেও ৪৭৫ মেঃ টন ইউরিয়া সার সম বন্টন না করে হরিঢালী ইউনিয়নে ১১০, গদাইপুর ইউনিয়নে ২০, গড়ইখালী ইউনিয়নে ৩৫, কপিলমুনি ইউনিয়নে ১০০, রাড়ুলী ইউনিয়নে ৪০, চাঁদখালী ইউনিয়নে ২০, লতা ইউনিয়নে ২৫, দেলুটী ইউনিয়নে ৫৫, সোলাদানা ইউনিয়নে ২৫, লস্কর ইউনিয়নে ২৫, পৌরসভা ২০ মেঃ টন সার বরাদ্ধ দেয়া হয়।

খুচরা সার বিক্রেতা আবু হেনা সরদার জানান, ৯নং ওয়ার্ডের সাবেক খুচরা সার বিক্রেতা রোকন উদ্দিন সরদার কপিলমুনি বাজারে দোকান থাকা অবস্থায় অসুস্থতার করনে তার কার্ড জমা দেন। আমিও কপিলমুনি বাজারে ব্যবসা করার জন্য সেখানে আবেদন করি কিন্তু আমাকে কপিলমুনি বাজারে নাদিয়ে ৯নং ওয়ার্ডে দোকান করতে বাধ্য করা হয়। কিন্তু কপিলমুনি বাজারে ১ নং ওয়ার্ডের আল-আমিন ট্রেডার্স, ৪নং ওয়ার্ডের কাঞ্চন বিপনী, ৫নং ওয়ার্ডের শ্রীমা ট্রেডার্স ব্যবসা পরিচালনা করলেও কর্তৃপক্ষ সেদিকে উদাসীন। নিয়ম ও আইন কি শুধু আমার জন্য অন্যদের বেলায় প্রযোজ্য নয়।

লতা ইউনিয়নের বিসিআইসি সার ডিলার আজাহারুল ইসলাম লাভলু জানান, উপজেলা কুষি অফিসের কর্মকর্তারা নিজেদের ইচ্ছা খুশিমত সার বরাদ্ধ দিয়ে আসছে। আমিসহ সোলাদানা ও লস্কর ইউনিয়ন ডিলার সার বরাদ্ধ চেয়ে আবেদন করলেও জানুয়ারি মাসে কোন সার বরাদ্ধ পাইনি। এছাড়াও ফেব্রুয়ারী মাস থেকে যত সামান্য বরাদ্দ পাচ্ছি। যেটা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান, আমি এখানে যোগদান করার আগেই সকল ডিলার ও খুচরা সার বিক্রেতা নিয়োগ করা হয়েছে। কোন ডিরার বা সার বিক্রেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে আবেদন দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিভিন্ন ইউনিয়নে চাষাবাদের তারতম্য আছে। সেকারনে যেসব ইউনিয়নে চাষাবাদ বেশি সেখানে সার বরাদ্ধ বেশি আর যেসব ইউনিয়নে চাষাবাদ কম হয় সেখানে সার বরাদ্ধ কম দেয়া হয় যেন কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ না হয়। গত জানুয়ারি মাসে লস্কর, সোলাদানা, লতা ইউনিয়নের ডিলারা সার চেয়ে আবেদন না করায় তাদের নামে কোন বরাদ্দ দেয়া হয়নি।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন