হোম জাতীয় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কবিতা লেখার জন্যই আমার কবি জীবনের জন্ম: নির্মলেন্দু গুণ

জাতীয় ডেস্ক:

কবি নির্মলেন্দু গুণ বলেছেন, মাঝে মাঝে মনে হয় আমার কবি জীবনের জন্ম বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কবিতা লেখার জন্যই হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা কর্মসূচি যখন পড়ে দেখলাম এটি দেশের মুক্তির জন্য আশীর্বাদ তখন থেকেই আমার কবিতা লেখার শুরু।

রোববার (২৭ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর খামারবাড়ি সংলগ্ন কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন (কেআইবি) মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

নির্মলেন্দু গুণ বলেন, আমি বিজ্ঞান শাখার ছাত্র ছিলাম। তখন আমার ভিতরে দ্বন্দ্ব কাজ করছিল আমি কি কবি হবো নাকি অন্য কোনো কিছু হবো। এরপর আমি বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা কর্মসূচি পড়লাম। তখন দেখলাম এই ছয় দফা পালিত হলে আমাদের দেশ পাকিস্তানের করাল গ্রাস থেকে মুক্তি পাবে।

তিনি বলেন, সেই থেকে আমি বঙ্গবন্ধুকে সমর্থন করি, ছয় দফাকে সমর্থন করি। এরপর থেকেই আমি কবিতা লেখা শুরু করি। কবি হওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। পড়ালেখাকে আর গুরুত্ব দেইনি। কবিতার মাধ্যমে দেশের জন্য, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কবিতা লেখা শুরু করি।

নির্মলেন্দু গুণ বলেন, আপনারা আমার বই পড়বেন৷ আমাকে জানার জন্য নয়, বঙ্গবন্ধুকে জানার জন্য৷ আমার আত্মজীবনীতেও বঙ্গবন্ধুর কথা, দেশের কথা লেখা।

কবিতা নিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে নির্মলেন্দু গুণ বলেন, ছয় দফার সময়ে বঙ্গবন্ধু যখন কারাগারে আছেন তখন আমি তার জন্য একটি দীর্ঘ কবিতা লিখেছিলাম। আমি চেয়েছিলাম তিনি কারাগারে বসে দেখুক তার জন্য অপেক্ষায় আছেন কত মানুষ।

তিনি বলেন, সে সময়ে বঙ্গবন্ধুর কবিতা ছাপা হলে পত্রিকা বন্ধ হয়ে যাবে বলে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন সম্পাদকেরা। আমি তার প্রতিবাদ করে জোর গলায় বলেছিলাম এ কবিতাটা ছাপা হলে দেশের মুক্তিকামী মানুষের উপকার হবে। যদিও তখন কবিতাটি ছাপা হয়নি। পরবর্তীতে ১৯৬৭ সনের ১২ নভেম্বর সংবাদে প্রকাশে কবিতাটা ছাপা হয়েছে। তিনি কারাগারে বসেই কবিতাটি পড়েছিলেন। এটি আমার জন্য পরম প্রশান্তির৷

এ সময় কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদ ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

বিশেষ অতিথি হিসেবে সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নান, কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ এবং ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর বক্তব্য রাখেন।

এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য এএসএম মাকসুদ কামাল, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী সভাপতি হামিদুর রহমান এবং বরেণ্য কৃষিবিদরা।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন