জাতীয় ডেস্ক:
নৌ-থানা থাকলেও নেই কোন স্থায়ী অবকাঠামো। এমনকি নদীতে টহল দেয়ার জন্য নেই ভালো কোনো নৌযান। পুরাতন জরাজীর্ণ টিনশেড ঘরে চলছে মানিকগঞ্জ পাটুরিয়া নৌ থানার কার্যক্রম। একটি ঘরে গাদাগাদি করে থাকতে হচ্ছে পুলিশ সদস্যদেরও।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, শ্যালো মেশিন চালিত পুরাতন একটি কান্ট্রি বোটে টহল দেয়ার চেষ্টা নৌ-পুলিশ সদস্যদের। কিন্তু মেশিনটি নষ্ট হওয়ায় নদী তীরেই থাকতে হয় তাদের।
জানা গেছে, ২০১৭ সালে শুরু হয় মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌ থানার কার্যক্রম। গত ছয় বছরে বরাদ্দ করা হয়নি একটিও আধুনিক নৌযান। নদীতে টহলের প্রয়োজন হলে ভাড়া নিতে হয় আশপাশের ট্রলার ও স্পিডবোট।
পুলিশ সদস্যরা জানায়, নিজস্ব কোনো জায়গা নেই থানার। পাটুরিয়ার বিআইডব্লিউটির ট্রাক টার্মিনালের পাশে একটি টিনশেডে চলছে অফিসের কার্যক্রম। সেখানেই আরেকটি টিনশেডে পুলিশ ব্যারাক থাকলেও তা বসবাস অনুপযোগী। জব্দ করা মালামাল রাখতে হয় খোলা স্থানে। অস্ত্রগারেও নেই পর্যাপ্ত নিরাপত্তা।
তবে, শিগগিরই সমস্যাগুলোর সমাধানের আশ্বাস কর্তৃপক্ষের।
পাটুরিয়া নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কান্ট্রিবোট নষ্ট থাকে। ফলে ভাড়ায় চালিত নৌ-যান ব্যবহার করতে হচ্ছে। তবে, ঘরের বিষয় সরকার জমি দেখছে। জমি অধিগ্রহণ হলে থানা হবে। তখন আশাকরি সমস্যার সমাধান হবে এবং সবকিছু সহজ হবে।’
ঢাকা বিভাগের নৌপুলিশের ডি আই জি মো. মিজানুর রহমান জানান, সমস্যাগুলোর সমাধানে কাজ শুরু হয়েছে। এর পাশাপাশি আরও ২৯টি নতুন ফাঁড়িসহ এ নৌ-থানাকে আধুনিক করা হবে।
পাটুরিয়া নৌ-থানায় বর্তমানে ২১ জন পুলিশ সদস্য কর্মরত আছেন।