অনলাইন ডেস্ক:
গত ১৬ আগস্ট দৈনিক গ্রামের কাগজে ‘বিচারক জানেন না কিছু, আইনজীবীও বিস্মিত জালিয়াতিতে ৩ আসামি খালাস!’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর বিচার বিভাগ বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে দফায় দফায় তদন্ত হয়েছে। বেরিয়ে এসেছে ভিন্ন কাহিনী। আদালতের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে মুলত অসাবধানতা বসত এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে জালিয়াতির কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে তাদের তদন্তে উঠে এসেছে।
এ বিষয়ে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ভারপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা বিপ্লব আহম্মেদ গ্রামের কাগজকে বলেন, মুলত ১০৯/১৯ নাম্বার মামলাটির এফআইআরএ তিন নং আসামির বয়স ১৮ বছর হওয়ায় মামলাটি বিভাজন করে একটি পার্ট শিশু আদালতে প্রেরণ করা হয়। কিন্তু শিশু আদালতের বিচারক ওই আসামিকে প্রাপ্ত বয়স্ক ঘোষণা করে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ওই নথি ফেরত পাঠিয়ে দেন।
পরবর্তিতে মামলাটি বিচারের জন্য জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৩য় আদালতে প্রেরণ করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী এসময় মামলাটি একত্রিত করার কথা ছিল। দুটি মামলা এক হয়ে বিচার চলার নিয়ম। কিন্তু অসাবধানতাবশত তা না হয়ে একই নাম্বারের পৃথক দুটি মামলা পৃথক ভাবে ভিন্ন ভিন্ন তারিখে দিন ধার্যে বিচারকার্য চলতে থাকে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তাও ভুলবশত একজনের পরিবর্তে তিনজনের বিরুদ্ধে দোষীপত্র প্রদান করেন। এরমাঝে শিশু আদালতে পাঠানো মামলাটি আইন মোতাবেক সাক্ষীর মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হয়। অপর মামলাটি চলতে থাকে। এ কারণে মুলত এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। পরবর্তিতে বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নিয়ে আদালত কর্তৃপক্ষ বিষয়টির সমাধান করেছে। যেটি হয়েছে সেটি অসাবধানতাবশত ভুল, জালিয়াতির কোনো ঘটনা ঘটেনি।
উল্লেখ্য, গ্রামের কাগজে সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি আদালত কর্তৃপক্ষ গুরুত্বের সাথে নেন। একপর্যায়ে আদালত কর্তৃপক্ষের তদন্তে উঠে আসে এ চিত্র। আদালত কর্তৃপক্ষের দাবি, এটা জালিয়াতির ঘটনা নয়, মুলত অসাবধানতা বশত বিভাজনকৃত মামলা ফেরত আসার কারণে এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।