আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বাসভবন হোয়াইট হাউজে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বিষ মাখানো চিঠি পাঠানোর দায়ে এক নারীকে ২২ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। জৈব অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ স্বীকার করায় প্যাসকেল ফেরিয়ার নামে ৫৬ বছর বয়সী ওই নারীকে এই শাস্তি দিয়েছে দেশটির একটি আদালত। মার্কিন বিচার বিভাগের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফ্রান্স ও কানাডার দ্বৈত নাগরিক প্যাসকেল ফেরিয়ার ২০২০ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও টেক্সাস রাজ্যের ৮ নিরাপত্তা বিষয়ক কর্মকর্তাকে রাইসিন বিষ মাখা চিঠি পাঠিয়েছিলেন।
সেই অভিযোগে একটি মামলায় আদালতে দোষ স্বীকার করেছেন প্যাসকেল। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তাকে অবৈধ জৈব অস্ত্র কাছে রাখার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
এরপর বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) এক রায়ে কলাম্বিয়ার ডিস্ট্রিক জাজ দাবনি ফ্রিডরিচ তাকে ২৬২ মাস বা প্রায় ২২ বছরের কারাদণ্ড দেন। এছাড়া সাজাভোগের পর তাকে যুক্তরাষ্ট্রের থেকে নির্বাসনের আদেশ দেন। তার কর্মকাণ্ডকে ‘সম্ভাব্য প্রাণঘাতী’ হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।
মার্কিন বিচার বিভাগ এক বিবৃতিতে বলেছে, ২০১৯ সালে বেআইনিভাবে অস্ত্র বহন ও বৈধ লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালানোর অভিযোগে প্যাসকেল ফেরিয়ারকে ১০ সপ্তাহ আটক রাখা হয়েছিল।
তিনি মনে করেন, আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর কর্মকর্তা তার ওই আটকের জন্য দায়ী। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক্স (সাবেক টুইটার) ব্যবহার করে ট্রাম্পকে হুমকি দেন।
এরপর ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে হোয়াইট হাউজে ট্রাম্পের ঠিকানায় পাঠানো একটি বিষ মাখা চিঠি জব্দ করা হয়। এফবিআইর তথ্য মতে, চিঠিতে লেখা ছিল, ‘আমি আপনার জন্য একটি নতুন নাম খুঁজে পেয়েছি: ‘কুৎসিত অত্যাচারী ভাঁড়’।
এছাড়া টেক্সাসের আইনশৃঙ্খলা আরও আট সদস্যকেও বিষ মেশানো চিঠি পাঠানো হয়। এর আগে ২০১৩ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও নিউইয়র্কের তৎকালীন মেয়র মাইকেল ব্লুমবার্গকেও রিসিন বিষ মাখা চিঠি পাঠানো হয়েছিল।
মার্কিন ডাক বিভাগের কর্মকর্তারা চিঠিকে সন্দেহজনক হিসেবে চিহ্ণিত করে এবং গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইকে অবহিত করে। চিঠি জব্দের দুই দিন পরই প্যাসকেল ফেরিয়ারকে আটক করা হয়।
এরপর জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেন, চিঠিতে মাখানোর জন্য রাইসিন বিষ তিনি কানাডার কুইবেকে নিজ বাড়িতে নিজ হাতে তৈরি করেছিলেন। ভেন্না বীজ থেকে তৈরি রাইসিন বিষ খুবই মারাত্মক। এটির কারণে ৩৬ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে যে কারও মৃত্যু হতে পারে।