জাতীয় ডেস্ক:
বন্দরনগরী চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতার ভোগান্তির পর সড়কগুলোর এখন বেহাল দশা। ভাঙাচোরা সড়কে চলাচল করতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষে ও যানবাহন চালকদেরও। ঘটছে দুর্ঘটনাও।
শুক্রবার (১১ আগস্ট) জলাবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাগুলোর মধ্যে ষোলশহর ২ নম্বর গেট, মুরাদপুর, মোহাম্মদপুর, বহদ্দার হাট, বায়েজিদ, শেরশাহ, জামাল খান থেকে গণি বেকারি ও বারিক বিল্ডিংসহ বিভিন্ন এলাকায় গর্ত দেখা গেছে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের তথ্যানুয়ায়ী , এবারে অতিবৃষ্টি ও জোয়ারে নগরীর ৫০ দশমিক ৭১ কিলোমিটার সড়ক নষ্ট হয়েছে। এর সঙ্গে ক্ষতি হয়েছে আরো দুই দশমিক ১৯ কিলোমিটার নালা ও ১ দশমিক ৯৯ কিলোমিটার ফুটপাত।
বেশিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের বিটুমিন, ইট, বালি উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বড় গর্তের। এতে পানি জমে যান চলাচলে বাড়াচ্ছে ভোগান্তি। একইসঙ্গে দুর্ঘটনার শঙ্কা বাড়ছে ।
স্থানীয়রা বলছেন, একের পর ভোগান্তিতে রয়েছেন তারা। জলাবদ্ধতার পর এবার নতুন করে সড়কের অচলাবস্থা জীবনযাত্রায় ফেলছে বিরূপ প্রভাব।
নগর পরিকল্পনাবিদরা বলছেন, অপরিকল্পিত এবং দায় সারা ভাবে সড়ক তৈরি ও মেরামত করায় প্রতিবছর এমন অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে।
সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ইতোমধ্যে প্রকৌশল বিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তার তালিকা তৈরি করেছে। বৃষ্টি বন্ধ হলে মেরামতের কাজ শুরু হবে। প্রাথমিকভাবে প্যাঁচওয়ার্কের মাধ্যমে দ্রুত সংস্কার করা হবে।
সংস্কার কাজ শুরু করতে দেরি হলে গর্ত আরো বড় হয়ে ক্ষতি আরো বাড়ার শঙ্কা থেকে যত দ্রুত সম্ভব ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা মেরামত করা হবে বলে জানান মেয়র।