আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
পাল্টাপাল্টি সামরিক পদক্ষেপে কোরীয় উপদ্বীপে বেড়েই চলেছে উত্তেজনার পারদ। যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু অস্ত্রবাহী সাবমেরিন মোতায়েনের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জোড়া ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের মাধ্যমে পাল্টা জবাব দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। পিয়ংইয়ংয়ের এই পদক্ষেপের প্রতিবাদ জানিয়েছে জাপান। আর এমন পরিস্থিতির মধ্যেই জাপান সাগরে যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন ও রাশিয়া।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক অস্ত্রবাহী একটি সাবমেরিন দক্ষিণের একটি নৌ বন্দরে আসার কয়েক ঘণ্টা পরই সোমবার (২৪ জুলাই) গভীর রাতে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে উত্তর কোরিয়া। জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও উত্তর কেরিয়ার এই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার এ ধরনের পদক্ষেপ পুরো অঞ্চলকে ঝুঁকির মুখে ফেলছে।
তিনি বলেন, উত্তর কোরিয়া দ্রুত পাল্টা জবাব হিসেবে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে, যা শুধুমাত্র জাপানের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্যই নয়; পুরো বিশ্বের জন্য অশনি সংকেত। এ ধরনের পদক্ষেপ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের প্রস্তাবনা অনুযায়ী এটি পুরোপুরি বেআইনি কাজ। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এদিকে, কোরীয় উপদ্বীপে তীব্র উত্তেজনার মধ্যেই এবার অঞ্চলটিতে সামরিক শক্তির জানান দিচ্ছে দুই মিত্র দেশ চীন ও রাশিয়া। জাপান সাগরে ব্যাপক সামরিক মহড়া শুরু করেছে দেশ দুটি।
বেইজিং বলছে, সমুদ্র নিরাপত্তা ও দুই দেশের কৌশলগত সম্পর্ক উন্নয়নের জন্যই এই মহড়া। এই অনুশীলনে ব্যবহার করা হচ্ছে ১০টি যুদ্ধজাহাজ, ৩০টি যুদ্ধবিমানসহ অত্যাধুনিক সব প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর তৎপরতা শুরুর ঘোষণার কারণেই নিজেদের সামরিক উপস্থিতির জানান দিচ্ছে দেশ দুটি। তারা বলছেন, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে পরমাণু অস্ত্রসমৃদ্ধ দেশগুলোর এ ধরনের তৎপরতা যেকোনো মুহূর্তে ভয়ংকর রুপ নিতে পারে, ভেঙে পড়তে পারে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা।