আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের একক আধিপত্য ধরে রাখার পরিষ্কার ইঙ্গিত মিলছে ভোটের ফলাফল প্রকাশের প্রথম চার ঘণ্টায়। ভোট গণনার প্রথম চার ঘণ্টার ফলাফল বলছে, পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ৬০ শতাংশ গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল এগিয়ে।
ভোটের ফলাফলের আভাস থেকে এটাও পরিষ্কার যে, তৃণমূলের সঙ্গে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আধিপত্যের দৌড়ে বিজেপি দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। বেলা ১২টা পর্যন্ত প্রাপ্ত ভোটের বেসরকারি ফলাফল বলছে, তৃণমূল কংগ্রেস এগিয়ে রয়েছে ১ হাজার ২০৮টি পঞ্চায়েতে।
রাজ্যের প্রধান বিরোধীদল বিজেপি এগিয়ে রয়েছে ২৮৮ গ্রাম পঞ্চায়েতে। বামফ্রন্ট ১০৯, কংগ্রেস ১৩৬, আইএসএফ ১৪ এবং নির্দলীয় প্রার্থীরা এগিয়ে রয়েছেন ৪৩টি আসনে।
পঞ্চায়েতের মোট আসন ৬ হাজার ৩২৯। প্রথম পর্যায়ে ভোট গণনা হচ্ছে গ্রাম পঞ্চায়েতের। এরপর গণনা হবে পঞ্চায়েত সমিতি এবং সবশেষ জেলা পরিষদের আসনের ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদ মিলিয়ে মোট আসন সংখ্যা ৭৩ হাজার ৮৮৭। এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে প্রায় সবগুলো রাজনৈতিক দলীয় এবং নির্দলীয় মিলিয়ে প্রায় ২ লাখ ৬ হাজার প্রার্থী।
মঙ্গলবার (১১ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে রাজ্যের ২২ জেলায় ৩৩৯টি গণনা কেন্দ্রে ভোট গণনা শুরু হয়। তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয়ের ব্যালট বাক্স খুলে ব্যালট পেপার গণনা চলছে।
তবে এদিনও রাজ্যটির বেশ কিছু জেলায় ভোট গণনা কেন্দ্রের বাইরে এবং অভ্যন্তরে হাঙ্গামার খবর মিলেছে। উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরের একটি ভোট গণনা কেন্দ্র থেকে এক প্রার্থীকে পুলিশ মারতে মারতে বের করে দেয়ার মতো অভিযোগও গণমাধ্যমের সামনে এসেছে।
এছাড়া, মালদার ইংরেজবাজার এলাকার একটি ভোট গণনা কেন্দ্র থেকে ব্যালট বাক্স ছিনিয়ে নেয়ার মতো ঘটনাও দেখিয়েছে কলকাতার বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল।
উল্লেখ্য, গত ৮ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের ২২ জেলায় পঞ্চায়েত ভোট গ্রহণ সম্পন্ন করে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে সহিংসতায় নিহত হন অন্তত ১৭ জন রাজনৈতিক কর্মী। আর পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণার পর থেকে এ পর্যন্ত রাজনৈতিক সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩৭ জন।
চলতি পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১২ শতাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। যদিও সর্বশেষ ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনেও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন ৩৪ শতাংশ প্রার্থী। সেবার রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত হয়েছিলেন ২৩ জন।