জাতীয় ডেস্ক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সম্প্রতি শেষ হওয়া সিটি করপোরেশনগুলোর দিকে তাকালে বোঝা যায়, আওয়ামী লীগের সময়ে নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়৷ তাছাড়া এটা সম্ভব হয়েছে গণতান্ত্রিক সরকারের ধারাবাহিকতার জন্য।
সোমবার (৩ জুলাই) দুপুর ১২টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত দুই মেয়রকে শপথবাক্য পাঠ করিয়ে বক্তব্য দেন তিনি।
একই স্থানে দুই সিটির কাউন্সিলররা শপথ নেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলামের কাছে। এর আগে, সকাল ১০টায় খুলনা, গাজীপুর ও বরিশাল সিটির মেয়ররা শপথ নেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে।
এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের সময়ে নির্বাচন যে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়, সম্প্রতি শেষ হওয়া সিটি করপোরেশনগুলোর দিকে তাকালে সেটাই স্পষ্ট হয়। আর গণতান্ত্রিক সরকারের ধারাবাহিকতার জন্যই এসব সম্ভব হচ্ছে৷
পাঁচ সিটির মেয়রদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভোট ও এলাকা দেখে নয়। জনআকাঙ্ক্ষা পূরণে কাজ করতে হবে জনপ্রতিনিধিদের৷
বিএনপির দুঃশাসন ও নৈরাজ্যে অবৈধ সরকার ক্ষমতা নিয়েছিল উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ওই দিন যেন আর না ফেরে৷ নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে গণতান্ত্রিক সরকারের ধারাবাহিকতায় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভোট বা এলাকা দেখে উন্নয়ন করে না আওয়ামী লীগ সরকার। সিটি করপোরেশনগুলোর উন্নয়নে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশনাও দেন তিনি৷
রাজশাহী সিটিকে দৃষ্টিনন্দন শহরে পরিণত করায় লিটনকে ধন্যবাদ জানিয়ে সিলেটের মেয়রকে রাজশাহী শহর ঘুরে দেখার আমন্ত্রণ জানান শেখ হাসিনা। বলেন, এসব নগরে আরো উন্নয়ন করতে হবে৷ প্রত্যেক মেয়র নিজ নিজ এলাকার সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ করে সিটি করপোরেশনগুলোকে নান্দনিকতায় ভরিয়ে তুলতে পারেন৷ যে কোনো দুর্যোগে সাধারণ মানুষের পাশে আছে সরকার; নদীগুলো আবারও ড্রেজিং করতে হবে৷ জনগণের সেবা করবেন এমনটাই আশা করি৷
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ভালো মানের হোটেল থাকলে রাজশাহীতেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজন করা সম্ভব। এক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা উদ্যোগ নেবেন বলে আশা করি৷’
সম্প্রতি শেষ হওয়া পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিজয়ী জনপ্রতিনিধিরা এবার আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব বুঝে পেলেন৷ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দুই ধাপে অনুষ্ঠিত হয় মেয়র ও কাউন্সিলরদের এ শপথগ্রহণের আয়োজন৷