হোম আন্তর্জাতিক ওয়াগনার বাহিনীর সশস্ত্র বিদ্রোহ নিয়ে যা বললেন জেলেনস্কি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

রাশিয়ায় ভাড়াটে ওয়াগনার বাহিনীর সশস্ত্র বিদ্রোহ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেছেন, ওয়াগনার বাহিনীর এই সশস্ত্র বিদ্রোহের মধ্যদিয়ে রাশিয়ার বড় দুর্বলতা প্রকাশ পাচ্ছে।

গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এরপর এই অভিযানে রুশ বাহিনীর সঙ্গে যোগ দেয় ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার গ্রুপ। এরপর চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত এই বাহিনী মূলত ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর বাখমুতে লড়াই করে। চলতি মাসের শুরুর দিকে রুশ বাহিনীর কাছে বাখমুত বুঝিয়ে দেন বাহিনীর প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন।

জেলেনস্কি বলেন, ‘মস্কো যত বেশি সময় ইউক্রেনে তার সেনা ও ভাড়াটে সেনাদের রাখবে, তাদের দেশে তত বেশি বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি হবে।’ রুশ সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের বিদ্রোহের দ্বিতীয় দিন শনিবার (২৪ জুন) এক টেলিগ্রাম বার্তায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।

রুশ সামরিক নেতাদের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে গত মাসের শেষের দিকে ইউক্রেনের বাখমুত শহর থেকে সেনাদের প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন ওয়াগনার প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন। এরপর থেকেই রুশ নেতাদের বিরুদ্ধে একের পর এক বাক্যবাণ ছুড়তে থাকেন তিনি।

শুক্রবার (২৩ জুন) অনেকটা আকস্মিকভাবেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন প্রিগোজিন। একাধিক টেলিগ্রাম বার্তায় ৬২ বছর বয়সি প্রিগোজিন বলেন, তার সেনারা রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু করেছে। তবে এটাকে তিনি অভ্যুত্থান বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।

রাশিয়ার সামরিক নেতৃত্বকে উৎখাতের হুমকি দিয়ে ওয়াগনার প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন বলেছেন, তাদের সামনে যত বাঁধাই আসুক তা ধ্বংস করে দেয়া হবে। বিবিসি জানিয়েছে, শুক্রবার (২৩ জুন) প্রিগোজিনের নেতৃত্বে প্রায় ২৫ হাজার ওয়াগনার সেনা রাশিয়ায় ঢুকে পড়েছে।

রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন ওয়াগনার বাহিনীর বিদ্রোহকে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ ও ‘পিঠে ছুরি মারা’র সঙ্গে তুলনা করেছেন। সেই সঙ্গে তিনি যেকোনো মূল্যে তাদের প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছেন।

এদিকে রাশিয়ার পরিস্থিতি সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো। শুক্রবার (২৩ জুন) যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র অ্যাডাম হজ বলেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে এই বিষয় অবহিত করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি এবং মিত্র ও অংশীদারদের সাথে এই অগ্রগতির বিষয়ে পরামর্শ করব।’

ইইউয়ের পররাষ্ট্র বিষয়ক ও নিরাপত্তা নীতিবিষয়ক মুখপাত্র নাবিলা মাসরালি বলেছেন, আমরা সতর্কতার সঙ্গে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি ও মস্কোতে আমাদের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে স্থায়ী যোগাযোগ করছি। আমাদের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গেও অভ্যন্তরীণ পরামর্শ অব্যাহত রাখছি। বিষয়টি রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ সমস্যা।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন