হোম আন্তর্জাতিক কানাডার দাবানলের ধোঁয়া পৌঁছে গেছে ইউরোপে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

যুক্তরাষ্ট্রের পর এবার কানাডার দাবানলের ধোঁয়া অগ্রসর হচ্ছে ইউরোপের দিকে। এতে নরওয়েসহ আশপাশের কয়েকটি দেশকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও দমকলকর্মী মোতায়েন করেছে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ইইউ। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।

নরওয়ের কর্মকর্তারা শুক্রবার জানিয়েছেন, কানাডার দাবানল থেকে সৃষ্ট ধোঁয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বাঞ্চল এবং কানাডার কিছু অংশ ঢেকে যাওয়ার পর তা নরওয়ের ওপর দিয়ে চলে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই ধোঁয়া দক্ষিণ ইউরোপের দিকেও চলে যাবে।

গবেষণা ইনস্টিটিউট (এনআইএলইউ) টুইট করে জানিয়েছে, কানাডার দাবানলের ধোঁয়া এখনও নরওয়ের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এটি আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ইউরোপের অন্যান্য অংশেও পৌঁছে যাবে।

আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কানাডার ফায়ার সার্ভিস ছাড়াও মাঠে নেমেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ছয় শতাধিক কর্মী। দমকলকর্মী মোতায়েন করেছে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

দাবানলের প্রভাবে কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত ১০ কোটি মানুষ চরম বায়ুদূষণের কবলে রয়েছে। এর আওতায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পূর্বাঞ্চলসহ পশ্চিমের শিকাগো ও দক্ষিণের আটলান্টা। সবচেয়ে ঝুঁকিতে রয়েছে শিশু ও বয়স্করা।

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি, ফিলাডেলফিয়া, নিউইয়র্ক, শিকাগো, ইলিনয়ে চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে বায়ুদূষণের মাত্রা। এসব রাজ্যে জারি করা হয়েছে জরুরি সতর্ক অবস্থা। বন্ধ রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, পার্ক, চিড়িয়াখানার মতো বিনোদনকেন্দ্র। ধোঁয়ার কারণে ফ্লাইট বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ২৫টি বিমানবন্দর।

প্রতিবছর কানাডার অন্তত এক-তৃতীয়াংশ বনভূমি দাবানলের কবলে পড়ে। তবে এবার ছাড়িয়েছে আগের সব রেকর্ড। গেল ছয় সপ্তাহে দেশটিতে যে পরিমাণ জমি পুড়েছে, তা ১০ বছরের গড়ের চেয়েও বেশি। এ অবস্থা কানাডার ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ ও ভয়ানক পরিস্থিতি বলে অভিহিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। অবশ্য এর কারণ হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করেছেন তিনি।

একই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় কাজ চলছে বলেও নিশ্চিত করেন ট্রুডো। এর মধ্যেই আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, খুব শিগগিরই এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ সম্ভব নয়। তাই জনসাধারণকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন