হোম অর্থ ও বাণিজ্য শিল্প সুরক্ষায় গার্মেন্টস এক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং পণ্য আমদানি বন্ধের দাবি

বাণিজ্য ডেস্ক:

দেশীয় শিল্প সুরক্ষায় বন্ড সুবিধায় গার্মেন্টস এক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং পণ্য আমদানি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ গার্মেন্টস এক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএপিএমইএ) নেতারা। একই সঙ্গে এ খাতের উৎসে কর কমিয়ে দশমিক ৫ শতাংশ নির্ধারণের দাবি তাদের।

শনিবার (১০ জুন) রাজধানীতে বিজিএপিএমইএ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা।

নেতারা বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কাসহ ২৩টি দেশে বোতাম, কার্টনসহ ২১ ধরনের এক্সেসরিজ পণ্য রফতানি হচ্ছে। বিজিএপিএমইএ-র হিসাবে, বর্তমানে বছরে প্রায় ৩ থেকে ৪ মিলিয়ন ডলারের পণ্য বিদেশে যাচ্ছে। মূলত তৈরি পোশাক শিল্পের দেশ হিসেবে বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশের পরিচিতি থাকায় গত অর্থবছরেও দেশে ৫২ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানির ৮০ ভাগের বেশি এসেছে তৈরি পোশাক খাত থেকে।

তাই রফতানি আয়ের পাশাপাশি শিল্পের সক্ষমতা বাড়াতে বন্ড সুবিধায় এক্সেসরিজ পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ চান সংগঠনটির নেতারা। এ ছাড়া পাঁচ বছরের জন্য এক্সেসরিজ খাতের উৎসে কর কমিয়ে দশমিক ৫ শতাংশে নির্ধারণের দাবি তাদের।

দেশে পোশাক তৈরি থেকে রফতানি উপযোগী পর্যন্ত বোতাম, হুক, জিপার, কার্টনসহ নানা ধরনের এক্সেসরিজের দরকার হয়। সেসব সরবরাহ করতেই দেশে গড়ে উঠেছে দুই হাজারের বেশি গার্মেন্টস এক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং কারখানা।

এতে চাহিদার শতভাগ জোগান মিলছে স্থানীয়ভাবেই, যা পণ্য রফতানির সময় কমিয়ে প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বাড়াচ্ছে। বর্তমানে তৈরি পোশাকসহ ৪৩ ধরনের পণ্য রফতানিতে ২০ শতাংশ পর্যন্ত নগদ প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার।

তবে সহযোগী খাত হিসেবে প্রণোদনার ভাগ দাবি করে আসছেন এক্সেসরিজ খাতের উদ্যোক্তারা। অবশেষে পূরণ হয়েছে সেই চাওয়া। বিজিএপিএমইএ-র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এ কে এম মোস্তফা সেলিম বলেন, আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে নগদ প্রণোদনার তালিকায় এ খাতকে যুক্ত করায় রফতানি আয় আরও বাড়বে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন