অনলাইন ডেস্ক :
গত ৬-৭ বছর ধরে শিশুদের অপহরণ করে আসছে চক্রটি। দীর্ঘ এ সময়ে চক্রটি ৫ থেকে ৬ শ’ শিশুকে অপহরণ করেছে। পরে, শিশুদের অভিভাবকদের সামর্থ্য অনুযায়ী নেওয়া হতো মুক্তিপণ। এবার সেই চক্রের মূলহোতাসহ তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে অপহরণে ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোন ও পাঁচটি সিমকার্ড জব্দ করা হয়েছে।
আজ শনিবার (৬ মে) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মোর্শেদ আলম।
সংবাদ সম্মেলনে মোর্শেদ আলম বলেন, ‘শুক্রবার গাজীপুরের সালনা থেকে ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অপহৃত শিশুর মা-বাবাকে ফোন করে ১০ থেকে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হতো শিশুদের। বিশেষ করে যে শিশুরা অভিভাবকের ফোন নম্বর বলতে পারতো তাদেরকেই টার্গেট করতো চক্রটি।’
পুলিশের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, গত ২৪ মার্চ রাজধানীর উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরের হলি ল্যাবের সামনে থেকে ৬ বছরের শিশু শাহিন শেখ হারিয়ে যায়। এ ঘটনায় উত্তরা পূর্ব থানায় সাধারণ ডায়েরি করে নিখোঁজ শিশুর পরিবার। সেই ঘটনায় তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তদন্তের সূত্র ধরে অপহরণকারী এই চক্রের সন্ধান পাওয়া যায়। পরে, উত্তরা পূর্ব থানার একটি টিম তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আসামিদের শনাক্ত করে ও অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
মোর্শেদ আলম বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিদের কাছ থেকে জানা গেছে, চক্রের মূলহোতা মিল্টন ও তার সহযোগী শাহীনুর ৬ থেকে ৭ বছর ধরে ৫ থেকে ৬ শ’ শিশু অপহরণ করেছে। স্কুল, বাজার, রেস্টুরেন্টসহ নানা জায়গায় একা থাকা ও বাবা-মায়ের সঙ্গে ঘুরতে থাকা শিশুদের টার্গেট করে কৌশলে অপহরণ করত তারা। টার্গেটের শিকার শিশুকে তার বাবা-মায়ের বন্ধু কিংবা ব্যবসায়িক পার্টনার বলে পরিচয় দিত। তাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করে এবং কথা বলার এক পর্যায়ে মা-বাবার আর্থিক অবস্থা জেনে নিত। এরপর কৌশলে নম্বর নিয়ে শিশুটির মা-বাবাকে ফোন দিয়ে অপহরণ হয়েছে জানিয়ে টাকা দাবি করতো।