আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
গণমাধ্যমকে সরাসরি আক্রমণ করে বসেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। অভিযোগ তুলেছেন ষড়যন্ত্র ও মিথ্যে ছড়ানোর। তিনি বলেছেন, ‘ক্ষমতা ও লাভের জন্য কাজ করছে গণমাধ্যমটি। এর মাধ্যমে বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে।’ এমনকি, মার্কিন গণমাধ্যম ফক্স নিউজকে ইঙ্গিত করে রসিকতাও করেছেন তিনি। আজ রোববার (৩০ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে লন্ডনভিত্তিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।
হোয়াইট হাউজ করেসপন্ডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আজ ছিল বার্ষিক নৈশভোজ। সেখানে ছিলেন বাইডেনও। এই আয়োজনে বাইডেনের ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ক্যাম্পিংয়ের কিছু আভাস পাওয়া গেছে।
নৈশভোজে ‘মিথ্যে সত্যের দ্বারা সমাহিত হয়’ বলে একটি রেফারেন্স দেন বাইডেন। এ ছাড়া ২০২০ সালের নির্বাচনের রেফারেন্স দিয়ে তিনি বলেন, ‘ওই নির্বাচনে মিথ্যে ষড়যন্ত্রতত্ত্ব কাজে দেয়নি।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, ‘ক্ষমতা ও লাভের জন্য মিথ্যে বলা হয়। ষড়যন্ত্র এবং বিদ্বেষের মিথ্যে এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যেন রাগ, ঘৃণা ও সহিংসতার পুনরাবৃত্তি হয়।’
বাইডেন আরও বলেন, ‘এই চক্র, বই নিষিদ্ধ করার জন্য স্থানীয় বিচারব্যবস্থাকে উৎসাহিত করেছে। আইনের শাসন এবং আমাদের অধিকার ও স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’
এ সময় কিছু গণমাধ্যমকে ‘এক্সট্রিম প্রেস’ হিসেবে ইঙ্গিত করেন বাইডেন। একইসঙ্গে রসিকতা করে বলেন, ‘ফক্স নিউজকে সৎ, ন্যায্য ও সত্যবাদী বললে আমার বিরুদ্ধে মানহানি মামলা হতে পারে।’
চলতি মাসের শুরুর দিকে ভোটিং মেশিন কোম্পানি ডোমিনিয়নের একটি মানহানির মামলায় ৭৮ কোটি ৭৫ লাখ ডলারে নিষ্পত্তি করেছে মার্কিন গণমাধ্যম ফক্স নিউজ। যুক্তরাষ্ট্রে ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রতিবেদনে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগে মামলাটি করা হয়েছিল। ওই নির্বাচনে বাইডেনের পক্ষে কারচুপি হয়েছিল বলে প্রতিবেদনে দাবি করেছিল মার্কিন গণমাধ্যমটি।
ফক্স নিউজের প্রসঙ্গ টেনে হাসতে হাসতে বাইডেন নৈশভোজে আমন্ত্রিত কৌতুক অভিনেতা রয় উড জুনিয়রকে তার বক্তব্য সংক্ষিপ্ত করতে ১০ ডলার ঘুষ দেওয়া কথা বলেন। বাইডেন বলেন, ‘একজন প্রেসিডেন্ট ঘুষ দিচ্ছে।’
বার্ষিক নৈশভোজে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক সরকারি কর্মকর্তাসহ হোয়াইট হাউজ বিটের সাংবাদিকরা অংশগ্রহণ করেন। সাধারণত মার্কিন প্রেসিডেন্টরা এই নৈশভোজে অংশ নেন এবং ভাষণ দেন, যেখানে সংবাদপত্রের বাকস্বাধীনতার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়। তবে, নিজের ক্ষমতাকালে ট্রাম্প নৈশভোজে অংশ নেননি।