অনলাইন ডেস্ক :
আজ বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন। বৈশাখের প্রথম দিনে তীব্র তাপপ্রবাহ দেশজুড়ে। তীব্র গরমে জনজীবন নাজুক হয়েছে পড়েছে। গরমের এ প্রভাব পড়েছে ফসলের জমিতেও।
শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৪০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তীব্র এ গরমে বেশি বিপাকে খেটে খাওয়া মানুষ। প্রচণ্ড খরতাপে সাতক্ষীরায় ঝরে যাচ্ছে আম।
তীব্র এ গরমের মধ্যেই বরণ করে নেয়া হয়েছে বাংলা নতুন বছরকে। মঙ্গল শোভাযাত্রা, রমনার বটমূলে বটমূলে শুরু হয় ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। সম্মেলক গানের ফাঁকে ফাঁকে একক গান, আবৃত্তি মিলিয়ে মোট ২৭টি উপস্থাপনার পর জাতীয় সংগীত দিয়ে শেষ হয় এ বছরের বর্ষবরণ আয়োজন।
গত কয়েকদিনে বৃষ্টির দেখা নেই। অনাবৃষ্টির সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ। অতিরিক্ত গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। জীবনের প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হয়ে বেশি বিপাকে খেটে খাওয়া মানুষ। তীব্র রোদে কাজে ব্যাঘাত ঘটায় গাছের ছায়া, দোকান পাটে বসে অলস সময় পার করছেন অনেকেই। পুকুরে গোলস করে শীতল পরশ নেয়ার চেষ্টায় কেউ কেউ।
এদিকে গরমের এ প্রভাব পড়েছে ফসলের মাঠেও। প্রচণ্ড খরতাপে নষ্ট হচ্ছে ফসল। সামনে আসছে আমের মৌসুম। কিন্তু তীব্র গরমে সাতক্ষীরায় ঝরে যাচ্ছে আম। তাই কাঙ্ক্ষিত ফলন নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চাষিরা। ফল রক্ষায় তারা গাছের গোড়ায় ঢালছেন পানি।
তারা জানান, রোদের কারণে আর পানির অভাবে আম পড়ে যাচ্ছে। অনেক আম ফুটো হয়ে যাচ্ছে। এভাবে যদি ফসল নষ্ট হয়ে যায় তাহলে তারা ব্যবসায়িক দিক থেকে ক্ষতির সম্মুখীন হবেন।
গত এক সপ্তাহ ধরে চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, যশোর, ঝিনাইদহ, বাগেরহাট, পাবনা, রাজশাহীতে ৩৮ থেকে ৪১ ডিগ্রি পর্যন্ত ওঠানামা করছে তাপমাত্রা। আরও কয়েকদিন তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।