কয়েকদিন ধরে দেশের ফুটবলের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় জাতীয় নারী ফুটবল দলকে অলিম্পিক বাছাই খেলতে মিয়ানমারে না পাঠানোর সিদ্ধান্ত। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) এই সিদ্ধান্ত হইচই ফেলে দিয়েছে চারদিকে। অনেকের মতে, এটা বাফুফের একটা আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। নারী ফুটবলারদের জন্য চরম হতাশারও।
বাফুফে দল না পাঠানোর পেছনে কারণ হিসেবে অর্থ সংকটের কথা বলেছে। সাবিনাদের মিয়ানমার পাঠানোর জন্য প্রয়োজন ছিল প্রায় এক কোটি টাকা। বাফুফে টাকা চেয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কে চিঠিও দিয়েছিল। মন্ত্রণালয় থেকে নেতিবাচক সিদ্ধান্ত পাওয়ার পর বাফুফে দ্বারস্থ হয়েছিল বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের। সেখান থেকে ইতিবাচক কোনো সিদ্ধান্ত না পাওয়ায় বাফুফে দল না পাঠানোরই সিদ্ধান্ত নেয়।
যে মেয়েরা ছয় মাস আগে সাফ জিতে দেশের সম্মান উজ্জ্বল করেছিলেন, সেই মেয়েরাই অর্থ সংকটে অলিম্পিকের বাছাই খেলতে যেতে পারলেন না। কয়েকদিন ধরে গণমাধ্যমে ভেসে বেড়ানো এই খবর জেনেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই তো তিনি তাঁর কার্যালয়ের মাধ্যমে বাফুফে সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিনের কাছে জানতে চেয়েছেন, কেন দল পাঠানো হলো না। তাঁকেও কেন জানানো হয়নি।
সোমবার সামগ্রিক বিষয় ব্যাখ্যা করতে হঠাৎ করেই সংবাদ সম্মেলনে ডেকেছিলেন বাফুফে সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন। সেখানেই তিনি বলেছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে তাকে ফোন করার কথা।
কাজী সালাউদ্দিন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আমাকে ফোন করা হয়েছিল। আমার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, কেন দল পাঠানো হলো না। দল মিয়ানমার পাঠাতে কত টাকা লাগবে। প্রধানমন্ত্রী নাকি তাদের বলেছেন, আমি কেন তাঁকে আগে বিষয়টি জানাইনি। আমি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়কে বলেছি, এখন টাকা দিলেও আর দল পাঠানো সম্ভব না। কারণ, নাম প্রত্যাহার হয়ে গেছে। আসলে প্রধানমন্ত্রীকে বিষয়টি না জানানো আমার ভুলই ছিল।’