হোম অন্যান্যসারাদেশ ভবিষ্যতের যুদ্ধ কি পানি নিয়ে হবে?

পৃথিবীর ৪৫৪ কোটি বছরের ইতিহাসে সম্পদ নিয়ে মানুষের মধ্যে বহু যুদ্ধ-সংঘাত হয়েছে। ভূমি, তেল, বাণিজ্য পথসহ বিভিন্ন পণ্যের দখল নিয়ে লড়াই হয়েছে এবং প্রাণহানি ঘটেছে বহু মানুষের। এসব সম্পদের মধ্যে এখন সবচেয়ে দামি হয়ে উঠেছে পানি। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের কারণে পৃথিবী ক্রমশ উষ্ণ হয়ে উঠছে, বাড়ছে শুষ্কতা। এতে পানি সংকটও আরও তীব্রতর নিচ্ছে। কাজেই প্রশ্ন আসছে, পৃথিবীর ভবিষ্যত যুদ্ধ কি পানি নিয়ে হবে?

১৯৯৫ সালে বিশ্বব্যাংকের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. ইসমাইল সেরাগেলডিন বলেছিলেন, যদি এ শতাব্দিতে তেল নিয়ে যুদ্ধ হয়ে থাকে, তাহলে আগামী শতকে সেই যুদ্ধ হবে পানি নিয়ে, যদি না আমরা এই মূল্যবান ও গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ ব্যবস্থাপনায় আপনাদের আচরণে কোনো পরিবর্তন আনতে না পারি।

মানুষের জীবন যাপনে কতটা, কী পরিমাণ পরিবর্তন আনা সম্ভব হবে; তা নিয়ে অবশ্য বিতর্ক রয়েছে। কারণ মানুষ ও শিল্পকারখানা বাড়ার কারণে পানির চাহিদাও ক্রমাগত ঊর্ধ্বমুখী। জাতিসংঘ বলছে, ২০২৫ সাল নাগাদ পানি সংকটের এলাকাগুলোতে বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ বসবাস করবে। এর বছর পাঁচেক পর পানির অভাবের কারণে বাস্তুচ্যুত হবে ৭০ কোটি মানুষ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজ এমন খবর দিয়েছে।

আর বিশেষজ্ঞদের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইয়েমেন থেকে ভারত, মধ্য আমেরিকা থেকে আফ্রিকার সাহেল অঞ্চল—বিশ্বের এক-চতুর্থাংশ মানুষ চরম পানি সংকটের মধ্যে আছে। এতে সংঘাত, সামাজিক অস্থিরতা ও বাস্তুচ্যুতির ঘটনা প্রবল আকার ধারণ করবে।

মানুষের সামনে দুই বিকল্প

বিশ্বের জনসংখ্যা বাড়ছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বৃষ্টিপাতও অনিশ্চিত। কোথাও কোথাও ভয়াবহ অনাবৃষ্টিতে পানির চাহিদা ও তা নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রতিযোগিতা বেড়েছে। নেদারল্যান্ডসের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, যদি কোথাও পানি না-থাকে, তখন নিরাপদ জীবনের খোঁজে লোকজন সেখান থেকে পালাতে শুরু করবে। রাজনীতিবিদরাও পানির ওপর নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় উঠেপড়ে লাগবে। এতে সংঘাত লেগে যেতে পারে।

পানি ছাড়া মানুষের বসবাস সম্পূর্ণ অসম্ভব, বেঁচে থাকাও না। পানির অভাব দেখা দিলে মানুষের সামনে কেবল দুটি বিকল্প খোলা থাকে: যেখানে পানি আছে, সেখানে স্থানাস্তরিত হওয়া কিংবা যেখানে পানি সহজলভ্য, সেই পানি অধিকারে আনতে যুদ্ধে লিপ্ত হওয়া।

স্কাই নিউজের খবর বলছে, ২০১৭ সালে ইয়েমেন, দক্ষিণ সুদান, সোমালিয়া ও নাইজেরিয়ার বিভিন্ন অংশের দুই কোটি মানুষ পানি সংকটের কারণে ঝুঁকিতে পড়ে যান। ব্যাপক অনাবৃষ্টির কারণে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে সবচেয়ে ভয়াবহ মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে এসব অঞ্চলে।

এতে হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদ জীবনের খোঁজে বের হতে হচ্ছে। মানুষের মধ্যে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে পানি নিয়ে দ্বন্দ্ব ধীরে ধীরে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। কোথাও কোথাও সংকট এখন যুদ্ধের পর্যায়ে পৌঁছে গেছে।

পানি সহিংসতা নতুন না

তবে পানি নিয়ে সহিংসতা নতুন কিছু না। প্যাসিফিক ইনস্টিটিউটর তথ্যমতে, ইতিহাসে পানি নিয়ে প্রায় এক হাজার ৩০০ সংঘাত হয়েছে। যদিও সেগুলো কোনো যুদ্ধ ছিল না। এ ছাড়া যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবেও পানির ব্যবহার হতে দেখা গেছে।

ব্যাবিলনীয় রাজা হাম্বুরাবির শাসনকাল থেকে এখন পর্যন্ত পানি নিয়ে ছোট-বড় ৯২৫টি সংঘাতের তালিকা তৈরি করেছেন ওকল্যান্ডভিত্তিক প্যাসিফিক ইনস্টিটিউটের প্রধান পেটার গ্লিক ও তার দল। যদিও তালিকায় ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ আসেনি। কিন্তু পানি ও সংঘাতের মধ্যে এক জটিল সম্পর্ক রয়েছে।

বিবিসি ফিউচারকে পিটার গ্লিক বলেন, পানি সংঘাতকে আমরা তিনটি গ্রুপে শ্রেণিভুক্ত করেছি। প্রথমত, সংঘাতের কারণ, যেখানে পানির নিয়ন্ত্রণের বিতর্কের সঙ্গে সংঘাত জড়িয়ে আছে। দ্বিতীয়ত, সংঘাতের অস্ত্র হিসেবে পানির ব্যবহার। যেখানে সংঘাত ও সংঘাতের অস্ত্র হিসেবে পানি সম্পদ ব্যবহার করা হয়েছে। পানি ধরে রাখতে কিংবা ভাটি অঞ্চলে বন্যা তৈরি করতে বাঁধের ব্যবহার। তৃতীয়ত, সংঘাতের নিশানা কিংবা প্রাণহানি। অর্থাৎ যেখানে সংঘাতের কারণে পানি সম্পদ, পরিশোধনাগার ও পাইপলাইন হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়।

সাম্প্রতিক পানি সংক্রান্ত একটি উল্লেখযোগ্য সংঘাত দেখা গেছে সুদানের দারফুর অঞ্চলে। একুশ শতকের প্রথম দশকে পানি ও ভূমির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গবাদিপশু পালক ও কৃষকদের মধ্যে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে। এতে হাজার হাজার মানুষ হতাহত হয়েছেন। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। এটি ছিল এক জটিল সংঘাত। নৃতাত্ত্বিক ও ধর্মীয় ধারায় লোকজন বিভক্ত হয়ে পড়েন। যদিও সেখানকার দ্বন্দ্বের মূল কারণ কেবল পানিই ছিল না। কিন্তু সংঘাতের অন্যতম উপকরণ ছিল এই সম্পদ।

জাতিসংঘের তথ্যানুসারে, কয়েক দশকের সংঘাতে সুদানের উত্তরাঞ্চলে দেখা গেছে, সাহারা মরুভূমি প্রতিবছর এক মাইল করে উত্তরমূখী অগ্রসর হচ্ছে। এ অঞ্চলে বার্ষিক বৃষ্টিপাত ১৫ থেকে ৩০ শতাংশ কমে যাওয়ার কারণে মরুকরণও নিয়মিত বাড়ছে।

ব্লু নীল (নীলাভ নীল) নদে একটি বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প হচ্ছে মহাইথিওপীয় রেনেসাঁ বাঁধ। ইথিওপিয়া বাঁধটি নির্মাণ করছে। নীল নদের উপনদী হচ্ছে ব্লু নীল, যার উৎস ইথিওপিয়া। কোটি কোটি ডলারের এই জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের সক্ষমতা ছয় হাজার মেগাওয়াটের। অর্থাৎ ছয়টি পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সক্ষমতার সমান মহাইথিওপীয় রেনেসাঁ বাঁধ।

কিন্তু এই প্রকল্পের কারণে সুদান ও মিসরের সঙ্গে ইথিওপিয়ার রাজনৈতিক উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। কারণ মিসর নীল নদের ওপর অনেকটা বেশি নির্ভরশীল। আফ্রিকার দেশটির অধিকাংশ পানি এই আসে এই নদ থেকে। কিন্তু মহাইথিওপীয় রেনেসাঁ বাধ মিসরের উজানে অবস্থিত। এতে পানির স্তরে সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যেটিকে মিসরের অস্তিত্বের জন্য সংকট হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

২০১১ সালে মহাইথিওপীয় বাঁধের ভিত্তিপ্রস্তরের প্রথম ইটটি বসানোর পর থেকে এটি নির্মাণ বন্ধে চেষ্টা করে যাচ্ছে মিসর। কখনো কখনো সামরিক সংঘাতেরও শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ২০১৩ সালের ঘটনা, তখন বাঁধটি ধ্বংস করে দিতে মিসরের জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদরা আলোচনা করছেন বলে ক্যামেরায় ধরা পড়েছে।

মিসরের প্রয়াত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ইসাম এল-হাদ্দাদি বলেন, বিকল্প কিছু থাকলেও সামরিক উপায় নিয়ে কথা বলা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। কিন্তু এটি মিসরের টিকে থাকার সঙ্গে সম্পৃক্ত। আমরা নীল নদী ছাড়া টিকতে পারব না। এটি আমাদের প্রাণশক্তি। অন্য একটি দেশকে ক্ষতি করে এমন কিছু করা উচিত হবে না।

এই বাঁধ নির্মাণের বিরুদ্ধে অনেক বিক্ষোভও হয়েছে। ২০১৮ সালে বাঁধটির প্রধান প্রকৌশলী সিমেগনিউ বাকলেকে আদ্দিস আবাবায় তার গাড়ির মধ্যে মৃত পাওয়া যায়। পুলিশের ভাষ্যে, এটি ছিল আত্মহত্যা। কিন্তু বহু লোকের ধারণা, তিনি রাস্তায় হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন।

কিন্তু বাঁধ নির্মাণ অব্যাহত রয়েছে। ২০১৯ সালে ইথিওপীয় প্রেসিডেন্ট আবি আহমেদ আলী বলেন, এই বাঁধ নির্মাণ থেকে কোনো দেশ আমাদের বিরত রাখতে পারবে না।

২০২২ সালে বাঁধটি থেকে প্রথম বিদ্যুৎ উৎপাদন করলেও দুই দেশের মধ্যকার উত্তেজনা অব্যাহত রয়েছে। আফ্রিকা রিজিওনাল সেন্টার ফর দ্য স্টকহম ইন্টারন্যাশনাল ওয়াটার ইনস্টিটিউটের পরিচালক অ্যান্তন আর্লি বলেন, কী ঘটতে যাচ্ছে, তা আগামী কয়েক বছরে জানা যাবে। একটি ব্যাপক মহাপরিকল্পনার অংশ এসব বাঁধ। বাঁধের জলাধার পূরণ করতে যেভাবে পানির প্রয়োজন হবে, তাতে এসব প্রকল্প যেকোনো পরিস্থিতি তৈরি করতে পারবে।

তিনি বলেন, নীল নদের প্রবাহ যখন প্রাকৃতিকভাবেই কমে আসবে, তখন শুষ্ক বছর শুরু হয়ে যাবে। মানুষ পানির সংকটে পড়বে। তখন ভাটিতে পানির প্রবাহ কমিয়ে দেয়া হবে। কারণ নিজের বাঁধের জন্য পর্যাপ্ত পানি রেখেই বাকিটা প্রবাহিত হতে দেবে ইথিওপিয়া। বাঁধের প্রয়োজন পূরণকেই বেশি গুরুত্ব দেয়া হবে।

‘আগামী কয়েক বছরে মিসর ও ইথিওপিয়ার মধ্যে সংঘাতের শঙ্কা প্রকট হয়ে উঠতে পারে,’ বলেন অ্যান্তন আর্লি।

বিশ্বজুড়ে পানির সংকট

পানি নিয়ে যুদ্ধের মুখোমুখি হওয়া কেবল আফ্রিকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ না। ২০১৮ সালে জয়েন্ট রিসার্চ সেন্টারের তথ্যানুসারে, নীল, গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র, ইন্দুস, দজলা-ফোরাত ও কলোরাডো নদীও এই তালিকায় রয়েছে।

পানি নিয়ে সংঘাত শত শত বছর ধরে চলছে। নীল নদ নিয়ে প্রাচীন নুবিয়া ও মিসরের মধ্যে সংঘাত হয়েছে। বর্তমান সময়ে এসে জলবায়ু পরিবর্তন এই সংঘাতকে আরও অবশ্যম্ভাবনী করে তুলেছে। বৈশ্বিক তাপমাত্রা বাড়ছে। অনেক বেশি পানি বাষ্পায়িত হয়ে জলচক্রকে পরিবর্তন করে দিচ্ছে। এতে কোথাও অনেক বেশি বৃষ্টিপাত হচ্ছে, আবার কোথাও অনাবৃষ্টির কবলে পড়ছে।

ভবিষ্যৎ যুদ্ধের জন্য জলবায়ু পরিবর্তন বড় ধরনের দায়ী হতে পারে কিনা; প্রশ্নে  ওয়ার্ল্ড রিসোর্স ইনস্টিটিউটিটস ফুড, ফরেস্ট, ওয়াটার অ্যান্ড দ্য ওসেন প্রোগ্রামের পানি বিষয়ক পরিচালক চার্লস আইসল্যান্ড বলেন, আমরা অনেক বেশি অনাবৃষ্টি দেখছি। বিশ্বজুড়ে খাদ্যসংকট বাড়ছে। সব দেশেই বিপর্যয় তৈরি হচ্ছে। ধনী-গরিব, সব দেশই জলবায়ু পরিবর্তনের খারাপ প্রভাবে পড়ছে।

তিনি বলেন, অনেক বেশি মানুষের জন্য অল্প সম্পদ। এতে চাহিদা বাড়ছে। যা এক সময়ে যুদ্ধে রূপ নিতে পারে। উন্নত দেশগুলোও এই পরিস্থিতির বাইরে না। যুক্তরাষ্ট্রের ভিতরেও অঙ্গরাজ্যগুলোর মধ্যে যারা অভিন্ন নদীর অংশীদার, তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে পানির অভাব রয়েছে। তারা হয়তো শারীরিকভাবে যুদ্ধে লিপ্ত হচ্ছে না, কিন্তু পরস্পরের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা ঠুকছে।

সাম্প্রতিক ইতিহাসে পানি নিয়ে কোনো যুদ্ধ হয়নি। পানি সংকটের সমাধান করতে দেশগুলো পরস্পরের সঙ্গে সহযোগিতা করছে। এমনকি নীল নদের বাঁধ নিয়ে বহুবছর ধরে উত্তেজনা চললেও তা যুদ্ধ পর্যন্ত যায়নি। কিন্তু পৃথিবী উষ্ণ হচ্ছে, শুষ্কতা বাড়ছে, তা থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব হয়নি। যে কারণে পানির জন্য লোকজনকে অনেক বেশি সংগ্রাম করতে হচ্ছে। কাজেই পানি সংরক্ষণের জন্য দেশগুলো আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারে।

২০২১ সালে বিবিসি ফিউচারের এক লেখায় দাবি করা হচ্ছে, বিশ্বজুড়ে বাঁধ নির্মাণের সংখ্যা নজিরবিহীন বাড়ছে। এতে ভাটিতে থাকা লোকজন পানির সংকটে পড়ে যাবে। বেড়ে যাবে সংঘাত।

গবেষকেরা বলছেন, ২০৪০ সাল নাগাদ প্রতি চারটির শিশুর মধ্যে একটি মারাত্মক পানি সংকটে থাকা এলাকায় বসবাস করবে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতের চেন্নাই ও দক্ষিণ আফ্রিকার কেপ টাউনকে ভয়াবহ পানি সংকটের মোকাবিলা করতে হচ্ছে। অনিয়মিত বৃষ্টিপাতের কারণেই এমনটি ঘটেছে।

জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে ২০ শতকে পানির ব্যবহার দ্বিগুণ বেড়ে গেছে। রোম, কেপ টাউন, চেন্নাই ও লিমাই তারই প্রতিধ্বনি দেখা গেছে। এসব অঞ্চলে পানির রেশন দিতে হচ্ছে। ২০১২ সাল থেকে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের ঝুঁকির তালিকায় পানি সংকট শীর্ষে রয়েছে। তীব্র অনাবৃষ্টি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে ভয়াবহ মানসিক সংকট তৈরি করেছে।

খাদ্য সংকট ও সংঘাতের কারণে আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের দুই কোটি মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন। ওকল্যান্ডভিত্তিক প্যাসিফিক ইনস্টিটিউটের প্রধান পেটার গ্লিক বলেন, বিরল ব্যতিক্রম ছাড়া তৃষ্ণায় কেউ মারা যান না। কিন্তু দূষিত পানি ও পানি নিয়ে সংঘাতে বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন