দীপক শেঠ, কলারোয়া(সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় মাঘ মাসেই আগাম সুবাস ছড়াচ্ছে আমের মুকুল। শীত আর কুয়াশার রিক্ততা মুছে প্রকৃতিজুড়ে চলছে ঋতুরাজ বসন্তকে বরণ করার উৎসব। এমন সময় গাছে গাছে ফুটছে আমের মুকুল। চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে এই মুকুলের পাগল করা ঘ্রাণ। বাতাসে মিশে সৃষ্টি করছে মৌ মৌ গন্ধ। যে গন্ধ মানুষের মনকে বিমোহিত করে।
পাশাপাশি মধুমাসের আগমনী বার্তা শোনাচ্ছে আমের মুকুল। এতে মুগ্ধ এলাকার প্রকৃতিপ্রেমী মানুষ। উপজেলার সকল এলাকার আম গাছে আগেভাগেই দেখা যাচ্ছে থোকা থোকা মুকুলের সমারোহ। গাছে গাছে আমের মুকুল আসায় ইতোমধ্যে গাছ ও বাগান মালিকরা আমের ভালো ফলন পেতে ছত্রাকনাশক স্প্রেসহ বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। উপজেলার হুলহুলিয়া গ্রামের মুনছুর খা, আখতার মোড়ল, সিংগার ফজলুর রহমান, মুরারীকাটির মতিয়ার রহমান, পাঁচপোতার ফজলুর রহমান,মির্জাপুরের মোস্তফা বাকী বিল্লাহ শাহী সহ আম গাছ
মালিক, বাগান মালিক এবং মৌসুমী আম চাষি ও ব্যবসায়ীরা জানান, আম বাগানে এবার আগেভাগে মুকুল এসেছে। এখন আমের ভালো ফলন পেতে ছত্রাকনাশক প্রয়োগসহ কয়েকবার স্প্রে করা হচ্ছে। নানানভাবে বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছি। গাছে গাছে এখন প্রচুর আমের মুকুল। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবারো বাম্পার ফলনের আশা করা যাচ্ছে।’ পরিচর্যা আর আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে আমের উৎপাদন বাড়বে এমনটা আশা তাদের।
জানা গেছে, বেশ কয়েকবছর ধরে দেশ-বিদেশে কলারোয়াঞ্চলের আমের চাহিদা বেশ। স্বাদ আর মানের গুনে আমের চাহিদা বাড়ায় এর চাষাবাদও বেড়েছে। বাড়ির আঙিনাসহ বিভিন্ন স্থানে আম গাছ রোপনের চেয়ে বর্তমানে আম বাগান গড়ে তোলার দিকে বেশি ঝুঁকছেন অনেকেই। পতিত জমির পাশাপাশি ফসলী জমিতেও বিভিন্ন জাতের আম বাগান তৈরি করা হচ্ছে।
প্রতিবছর আমের মৌসুমে নিজেদের খাওয়ার চাহিদা মিটিয়েও বিপুল অংকের আয়ের মুখ দেখছেন আম বিক্রি করে। এতে আম গাছের মালিক, বাগান মালিক ও মৌসুমী আম ব্যবসায়ীরার স্বপ্ন দেখছেন আমের ইতিবাচকতা নিয়ে। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আবুল হোসেন মিয়া জানান, এ সময় আম বাগানে বসবাস করা হপার বা ফুদকী পোকা যারা মুকুলের ক্ষতি করে। এ পোকা দমনে বালইনাশক স্প্রে বা কিছুদিন পর সালফার জাতীয় ছত্রাক নাশক স্প্রে করার জন্য তিনি পরামর্শ দেন। তিনি আরো জানান, বর্তমানে আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে। এ অবস্থা থাকলে এবার আমের বাম্পার ফলন হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।