হোম জাতীয় আশঙ্কাজনক হারে নেমে যাচ্ছে পানির স্তর

জাতীয় ডেস্ক :

ঢাকাসহ বরেন্দ্র এলাকায় আশঙ্কাজনক হারে নিচে নামছে পানির স্তর।

সোমবার (২ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে অনুষ্ঠিত গোল টেবিল বৈঠকে বক্তারা এ কথা বলেন।

বাংলাদেশ ওয়াটার ইন্টিগ্রেসি ফোরাম এবং বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম এ গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে।

বৈঠকে বক্তারা বলেন, সারাদেশে পানিবাহিত রোগ বাড়ছে। নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশনের অভাবে এ সমস্যা হচ্ছে। বর্তমানে সাত কোটি মানুষ নিরাপদ পানি এবং সাড়ে সাত কোটি মানুষ স্যানিটেশন বঞ্চিত।

বক্তারা বলেন, ভূগর্ভস্থ পানি তোলার কারণে ঢাকার পাশাপাশি বরেন্দ্র এলাকাতেও পানির স্তর নিচে নামছে। বরেন্দ্র এলাকায় পানি তোলা ওঠানো ছাড়াও অন্যান্য আরও ইস্যু রয়েছে। সেখানে বৃষ্টি কম হয়। এ ক্ষেত্রে বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ২০১৩ সালের পর এসব এলাকায় নতুন কোনো টিউবওয়েল বসাচ্ছে না। ঢাকা ও বরেন্দ্র এলাকার বাইরেও বিভিন্ন নগর এলাকা, শিল্পাঞ্চল এলাকায় পানির লেয়ার নেমে যাচ্ছে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডিরেক্টর আনোয়ার জাহিদ বলেন, নিরাপদ পানির ব্যবস্থা করতে হলে সবার জন্য পানি আছে কি না তা ভাবতে হবে। লবণ পানি ৯৭ ভাগ, বরফ তিন ভাগ, পানযোগ্য পানি এক ভাগেরও কম। পানির চাহিদা দিন দিন বাড়ছে, কিন্তু পরিমাণ বাড়ছে না। ব্যবহারযোগ্য পানির পরিমাণও কমেছে।

তিনি বলেন, ঢাকায় ৫০ বছর আগে ভূগর্ভস্থ পানির লেয়ার দুই থেকে তিন মিটারের মধ্যে ছিল। বর্তমানে সেখানে ৮৬ মিটারে নেমে গেছে। এটা আমাদের জন্য খুবই এলার্মিং। তবে কিছু কিছু এলাকায় বৃষ্টির সময়ে পানির স্তর পূর্বের অবস্থানে ফিরে আসে। কিন্তু ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকাতে পানির লেয়ার শুধু নামছেই। কখনও আর ওপরে উঠছে না।

বৈঠকে জানানো হয়, ঢাকায় বছরে এক থেকে দুই মিটার পর্যন্ত পানির লেয়ার নিচে নেমে যাচ্ছে। আর ঢাকার বাইরে নামছে সেন্টিমিটার হারে। এর মধ্যে আশঙ্কার কথা হলো- ব্যবহারযোগ্য পানি আছে কি না, থাকলেও তা কত পরিমাণ আছে, এসব দেখার কেউ নেই।

হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি রাশেদ রাব্বির সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ওয়াটার ইন্টিগ্রেসি ফোরামের সদস্য ও এনজিও ফোরামের অ্যাক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এস এস রশিদ, কাজী মনির মোশাররফ, খুলনা ওয়াসার ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. আবদুল্লাহ, চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রজেক্ট ডিরেক্টর ইঞ্জিনিয়ার আরিফুল ইসলাম, রাজশাহী ওয়াসার ডেপুটি ম্যানেজার এস এম তুহিনুর আলম প্রমুখ।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন