বাণিজ্য ডেস্ক :
শীতের শুরুতে সবজির দাম বেশি থাকলেও শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বস্তি নেমে এসেছে সবজির বাজারে। বিগত দুই সপ্তাহের তুলনায় চলতি সপ্তাহে বাজারে সবজির দাম অনেকটাই কম।
শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে সরেজমিনে রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহের তুলনায় সবজির দাম কেজিতে ১০-১৫ টাকা করে কমেছে।
মধ্যবাড্ডা কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি পিস ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩৫-৪০ টাকা। বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিস ২৫-৩৫ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪০ টাকা, ব্রকলি পিসপ্রতি ৩০ টাকা বিক্রি হচ্ছে, গত সপ্তাহের তুলনায় যার দাম ১০ টাকা কম।
অন্যদিকে বেগুন প্রতি কেজি ৩০ টাকা, শিম ৪০-৪৫ টাকা, মুলা ২৫-৩০ টাকা, ধনিয়া পাতা ২৫০ গ্রাম ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে সবচেয়ে বেশি কমেছে টমেটোর দাম। গত সপ্তাহেও প্রতি কেজি টমেটোর দাম ৮০-১০০ টাকা থাকলেও, চলতি সপ্তাহে দাম কমে দাঁড়িয়েছে ৫০-৬০ টাকায়। এ ছাড়া গাজর ও শসা বিক্রি হচ্ছে ৪০-৬০ টাকা কেজি দরে।
সবজির পাশাপাশি কমেছে শাকের দামও। আগে যেকোনো শাক মুঠাপ্রতি ১৫ টাকা হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়। প্রতি কেজি পেঁয়াজের কালির দাম ৪০ টাকা থেকে কমে হয়েছে ২০ টাকা, প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ৮০ টাকায়।
বাজারে সবজির দাম কমায় খুশি ক্রেতারা। সবজি কিনতে আসা সালমা বেগম সময় সংবাদকে বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে যে দামে কিনেছিলাম তার তুলনায় দাম এখন হাতের নাগালে। শীতকালে সবজির কেনার একটা হিড়িক পড়ে যায়। বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ যেমন আম-কাঁঠালের ঋতু, তেমনি পৌষ-মাঘের এ সময়টা হচ্ছে সবজি খাওয়ার। দাম কম থাকলে সব শ্রেণির মানুষের জন্য সুবিধা হয়। আশা করছি, সামনে আরও দাম কমবে।’
সবজি বিক্রেতারা বলছেন, পর্যাপ্ত পরিমাণে সবজি আসায় বাজারে দাম স্বাভাবিক আছে। ক্রেতাদের মধ্যে চাহিদা বাড়লেও বাড়েনি দাম। বিশেষ করে আগে ঢাকার বাজারে দক্ষিণাঞ্চল থেকে খুব একটা সবজি আসতো না। তবে এবার সবজি সরবরাহে দক্ষিণাঞ্চল যুক্ত হওয়ায় দাম নাগালের মধ্যে আছে।
সবজির পাশাপাশি মাংসের বাজার ঘুরে দেখা যায়, আগের সপ্তাহের মতো প্রায় একই দামে বিক্রি হচ্ছে মুরগির মাংস। ব্রয়লার মুরগি ১৫০ টাকা, সোনালি ২৫০ টাকা ও দেশি মুরগি ৪৮০-৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। শীত আসায় বাজারে বেড়েছে হাঁসের মাংসের কদর। প্রতি কেজি দেশি হাঁস ৫৫০-৬০০ টাকা ও পিস প্রতি রাজহাঁস ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তবে ক্রেতাদের অভিযোগ সবকিছুর দাম কমলেও কমেনি মাছের দাম। যেখানে আগে তেলাপিয়ার কেজি ছিল ১৮০-২০০ টাকা, একই তেলাপিয়া বিক্রি হচ্ছে ২২০-২৫০ টাকায়। এ ছাড়া কেজি প্রতি চিংড়ি ৫৮০-৬৫০ টাকা, পোয়া মাছ ৪৫০-৬০০ টাকা, পাবদা ৩৫০-৪৫০ টাকা, শোল ৫৫০-৬৫০ টাকা, টেংরা ৪০০-৪৫০ টাকা ও রূপচাঁদা ৮০০-১ হাজার ২০০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে।