বিনোদন ডেস্ক :
ঝাং ইয়েমিং চীনের শীর্ষ ধনীদের একজন। একটি ছোট ভিডিও বানানোর অ্যাপ টিকটক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ঝাং-এর রয়েছে তাক লাগানো সম্পত্তি।
ঝাং ইয়েমিং চাইনিজ টেক জায়ান্ট বাইটড্যান্স-এর প্রতিষ্ঠাতা, যা সবচেয়ে জনপ্রিয় অ্যাপ টিকটক-এর জন্য পরিচিত। যার বিশ্বব্যাপী ১ বিলিয়নেরও বেশি ব্যবহারকারী রয়েছে। অন্যান্য সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম যেমন: ফেসবুক, ইউটিউবকেও ছাড়িয়ে গেছে টিকটক।
বাইটড্যান্স-এর যাত্রা শুরু ২০১২ সালে কেবল একটি চার বেডরুমের বেইজিং অ্যাপার্টমেন্টে। এর কয়েক মাস পর নিউজ অ্যাগ্রিগেশন অ্যাপ টাউটিয়াও চালু করেন ঝাং। শুরুর মাত্র নয় বছরের মাথায় ৬০ বিলিয়ন ডলার সম্পদের মালিক বনে যান ঝাং।
ঝাং-এর মনে হয় চীনা স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা মোবাইল অ্যাপে প্রাসঙ্গিক তথ্য খুঁজে পেতে লড়াই করছেন। এ থেকেই ২০১২ সালে শুরু করেন বাইটড্যান্স। ২০১৫ সালে বাইটড্যান্স একটি ছোট ফ্যানবেসসহ তার ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ চালু করেন। এর এক বছর পর বাইটড্যান্স একটি চীনা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম মিউজিক্যালি কিনে নেয়। এবং এটিকে টিকটকে একীভূত করে।
২০০৫ সালে নানকাই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাস করেন ঝাং। যেখানে তিনি তার প্রধান সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং করার আগে মাইক্রোইলেকট্রনিকস অধ্যয়ন শুরু করেন। সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র ঝাং নানকাই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিরতি নেন। এবং নিজের প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রায় ৫ মিলিয়ন ডলারের ফান্ড সংগ্রহ করে ফেলেন।
স্নাতকের পর একটি স্টার্টআপে চাকরি পেয়ে যান ঝাং, যা তাকে নিজের কোম্পানির ভিত্তি তৈরি করতে মূল্যবান দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করে। ঝাং বলেন, ‘আমি শুরুতে কুক্সুন নামে একটি কোম্পানিতে একজন সাধারণ প্রকৌশলী হিসেবে কাজ করতাম। তবে দ্বিতীয় বছর ব্যাক অ্যান্ড প্রযুক্তি এবং পণ্য সম্পর্কিত অন্যান্য কাজের জন্য প্রায় ৪০-৫০ জন লোকের দায়িত্বে ছিলাম। আমি প্রযুক্তির দিকটা দেখতাম। কিন্তু যখন পণ্যে কোনো সমস্যা হতো, আমি সক্রিয়ভাবে পণ্য পরিকল্পনার আলোচনায় অংশগ্রহণ করতাম। তখন অনেকেই আমাকে বলত এটা আমার কাজ নয়। তবে আমি সবাইকে বলতে চাই, দায়িত্ববোধ এবং কোনো জিনিস ভালোভাবে করার ইচ্ছা যে কাউকে আরও নতুন কিছু করতে এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করতে সাহায্য করবে।’
অধ্যবসায়ের সঙ্গে এই উদ্যমেই ঝাং কাজ করেছেন। তার দক্ষতা আর আয়ত্ত করার সহজাত ক্ষমতা তাকে দশকের উঠতি তরুণ উদ্যোক্তাদের একজন আদর্শ নেতায় রূপান্তরিত করে।
ঝাং তার ম্যানেজমেন্ট টিমের সদস্যদের জন্য তাদের নিজস্ব টিকটক ভিডিও তৈরি করা বাধ্যতামূলক করেন। ঝাং-এর দাবি, তার এই পদক্ষেপ অ্যাপটিকে আরও নিখুঁত করতে কাজ করেছিল। কর্মচারীদের কাছে ঝাং-এর নেতৃত্বশৈলী হলো ক্যারিশমেটিক। আর ঝাং-এর আশা বাইটড্যান্স একদিন গুগলের মতোই সীমাহীন হবে।