জাতীয় ডেস্ক :
জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংক্রান্ত আইন ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও)’ কিছু সংশোধনী আনার প্রস্তাব দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কিন্তু তিন মাস পার হয়ে গেলেও এ বিষয়ে ইসিকে কিছু জানায়নি আইন মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে অগ্রগতি জানতে চেয়ে দেয়া দুটো চিঠিরও কোনো জবাব পায়নি ইসি। এ অবস্থায় বিক্ষুব্ধ এবং হতাশা প্রকাশ করে আইন মন্ত্রণালয়কে তৃতীয় দফায় চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
রোববার (২৭ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশনের উপসচিব আব্দুল হালিম খানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইন মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানোর বিষয়টি জানানো হয়। যেখানে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে অগ্রগতি জানাতে আইন মন্ত্রণালয়কে আলটিমেটাম দেয়া হয়।
ইসির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও বিলের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ না নেয়া বা অগ্রগতি সম্পর্কে ইসিকে না জানানোয় গত ২৮ সেপ্টেম্বর লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগকে জরুরি চিঠি দেয় ইসি। তাতে এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়। কিন্তু পরবর্তী সময়ে ১০ অক্টোবর নির্বাচন কমিশনকে অগ্রগতি সম্পর্কে জানাতে আবারও বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়। তারপরও এখন পর্যন্ত ওই খসড়া বিলের অগ্রগতির বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করা হয়নি।
ইসি সূত্র জানায়, বিদ্যমান আরপিওতে যেসব সংশোধনী আনার প্রস্তাব করা হয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ভোট বাতিলে ইসির ক্ষমতা ও ভোট বন্ধে প্রিসাইডিং কর্মকর্তার ক্ষমতা বাড়ানো, প্রার্থীর এজেন্টদের ভয়ভীতি দেখালে বা কেন্দ্রে যেতে বাধা দিলে শাস্তির বিধান, সাংবাদিকদের দায়িত্ব পালনে বাধা দিলে শাস্তি, দলের সর্বস্তরের কমিটিতে নারী প্রতিনিধিত্ব রাখতে ২০৩০ সাল পর্যন্ত সময় দেয়া, দায়িত্বে অবহেলায় কর্মকর্তাদের শাস্তির আওতা বাড়ানো, প্রার্থীদের আয়কর সনদ জমা দেয়া বাধ্যতামূলক করা, ভোট গণনার বিবরণী প্রার্থী ও তার এজেন্টদের দেয়া বাধ্যতামূলক করা, মনোনয়নপত্র দাখিলের আগের দিন পর্যন্ত খেলাপি বিল (বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ইত্যাদি) পরিশোধের সুযোগ দেয়া, রাজনৈতিক দলের সংশোধিত গঠনতন্ত্র ৩০ দিনের মধ্যে ইসিতে জমা দেয়ার বিধান করার প্রস্তাব ইত্যাদি।
ইসির এসব প্রস্তাব আইনে অন্তর্ভুক্ত করতে হলে জাতীয় সংসদে এগুলো পাস হতে হবে। এর আগে ইসির প্রস্তাবগুলো প্রথমে খতিয়ে দেখবে আইন মন্ত্রণালয়। এরপর তা মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পেতে হবে। মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর তা জাতীয় সংসদে তোলা হয়।