আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
লেবাননে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়া নিয়ে ইতিবাচক ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার শাসক দল হামাস। গাজাতেও একই ধরনের চুক্তির ব্যাপারে আশা প্রকাশ করছে তারা।
স্থানীয় সময় বুধবার হামাসের একজন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে এ তথ্য জানিয়েছেন। প্রতিবদেন বলছে, এদিনই ভোর ৪টা থেকে লেবাননে শুরু হয় যুদ্ধবিরতি।
হামাসের ওই কর্মকর্তা বলেন, আমরা মিশর, কাতার এবং তুরস্কের মধ্যস্থতাকারীদের জানিয়েছি, হামাস একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি এবং বন্দি বিনিময়ের চুক্তির জন্য প্রস্তুত।
গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তির চুক্তির জন্য আলোচনা কয়েক মাস ধরে অচলাবস্থায় রয়েছে। চলতি মাসে কাতার ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা থেকে সরে আসে।
এর আগে মঙ্গলবার লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর তিনি এ ঘোষণা দেন। মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, উত্তর ইসরায়েলের বাসিন্দারা এখন তাদের বাড়ি ফিরে যাবেন।
এরপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘোষণা দেন, লেবাননে যুদ্ধবিরতি চুক্তি বুধবার সকাল থেকে কার্যকর হবে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার পর এ ঘোষণা দেন বাইডেন।
লেবাননে যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্তগুলোর বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। তবে অন্যতম শর্তের মধ্যে একটি হচ্ছে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহ উভয়ই ৬০ দিনের জন্য দক্ষিণ লেবানন থেকে তাদের বাহিনী প্রত্যাহার করবে। হিজবুল্লাহ সীমান্তের প্রায় ১৯ মাইল উত্তরে লিতানি নদীর উত্তরে থাকবে। দক্ষিণে তাদের কোনো অবস্থান থাকবে না।
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ইসরায়েলি বাহিনীর ওপর হামলা শুরু করে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। এরপর লেবাননে পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল।
গত সেপ্টেম্বর থেকে লেবাননে হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এমনকি লেবাননের ভেতরে স্থল অভিযানও চালানো হয়। গত এক বছরের ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে ৩ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।