সংকল্প ডেস্ক :
আজ ১৬ ডিসেম্বর মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের ৪৯তম বার্ষিকী। বীরের জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশসহ পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন ভূখণ্ডের নাম জানান দেওয়ার দিন। বিজয়ের দিনে শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় দেশজুড়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের স্মরণ করা হচ্ছে।
গোপালগঞ্জ : বিজয় দিবসে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

আজ বুধবার সকাল ১০টায় টুঙ্গিপাড়া বঙ্গবন্ধু সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সের বেদিতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আজিজুস সামাদ ডন ও আব্দুল আওয়াল শামীম ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে পবিত্র ফাতেহাপাঠ, বঙ্গবন্ধু, স্বাধীনতা সংগ্রামে আত্মদানকারী ৩০ লাখ শহীদ, জাতীয় চার নেতা ও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া মোনাজাত করা হয়।
নাটোর : সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে নাটোরের সিংড়া কেন্দ্রীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। পরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন প্রতিমন্ত্রী। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), পৌর মেয়রসহ বিভিন্ন সংগঠন ও সর্বস্তরের মানুষ উপস্থিত ছিলেন। একই সময়ে নাটোর শহরের স্বাধীনতা চত্বরের স্মৃতি সৌধে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক মোহম্মদ শাহরিয়াজ, পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহাসহ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সাধারণ মানুষ।
মেহেরপুর : বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস পালিত হচ্ছে। আজ বুধবার প্রত্যুষে সার্কিট হাউস চত্বরে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যে দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। বুধবার সকাল সাড়ে ৬টায় কলেজ মোড়ে অবস্থিত শহীদ মিনারে জেলা প্রশাসক ড. মো. মুনসুর আলম খান পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলিসহ স্থানীয় রাজনীতিবিদ, সামাজিক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এ ছাড়া দিনের কর্মসূচি অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধাদের সংর্বধনা, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।
নড়াইল : যথাযোগ্য মর্যাদায় নানা আয়োজনে নড়াইলে মহান বিজয় দিবস পালিত হচ্ছে। বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) দিবসটি পালন উপলক্ষে জেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন সংগঠনের আয়োজনে এ সকল কর্মসূচি গ্রহন করা হয়েছে। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচির সূচনা হয়।
পরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন শেষে স্মৃতি সৌধ, গণকবর, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও বধ্য ভূমিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, গণকবর জিয়ারত ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন বিশ্বাস, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপি এম বার, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস, পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র রেজাউল বিশ্বাস,জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি খায়রুল আরেফিন রানা ।
এছাড়া জেলা আওয়ামীলীগ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা বিএনপি, নড়াইল জেলা প্রেসক্লাব, নড়াইল প্রেস ক্লাব,সরকারি বিভিন্ন দপ্তরসহ সাংস্কৃতিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান । দিবসের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা । অপরদিকে কালিয়া উপজেলা প্রশাসকের আয়োজনে শহীদ আব্দুস সালাম ডিগ্রী কলেজের মাঠে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে । লোহাগড়া উপজেলার মোল্যার মাঠে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে যথাযোগ্য মর্যাদায়।
মাগুরা : যথাযোগ্য মর্যাদায় নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মাগুরায় ৫০তম মহান বিজয় দিবস পালিত হচ্ছে। সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে নোমানী ময়দান শহীদ স্মৃতি স্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর, জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল আলম, পুলিশ সুপার খান মুহাম্মদ রেজোয়ানসহ জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড ও বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
পাবনা : বিনম্র শ্রদ্ধা আর যথাযোগ্য মর্যাদায় পাবনায় মহান বিজয় দিবস পালন করা হচ্ছে। দিবসটি উপলক্ষে বুধবার সকালে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে দূর্জয় পাবনায় পুষ্পমাল্য অর্পন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ জেলা পরিষদ, পাবনা প্রেসক্লাব, আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক লোকজন। এ ছাড়া দিবসটি উপলক্ষে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বিভিন্ন সংগঠন।
খুলনা : বুধবার খুলনা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হেলাল হোসেন প্রথম গল্লামারী শহীদ স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহীদদের শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। প্রথমেই জেলা প্রশাসক, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, খুলনা জেলা ও মহানগর ইউনিট জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধারা শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন।
এর পরপরই শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার মাসুদুর রহমান ভূঞা, খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি ড. খ. মহিদ উদ্দিন, খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কেডিএ) চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আব্দুল মুকিম সরকার, খুলনা বিভাগ ও জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন সরকারি দপ্তর, খুলনা জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ-সংগঠন, খুলনা প্রেসক্লাব, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সর্বস্তরের জনসাধারণ।
বিএনপির পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর সভাপতি নজুরুল ইসলাম মঞ্জু দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।
কুষ্টিয়া : ভোর ৬টা ৪০ মিনিটে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে কুষ্টিয়া কালেক্টরেট চত্বরের মুক্তিযোদ্ধা স্বৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক মো. আসলাম হোসেন ও পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত। এরপর বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এ ছাড়াও দিবসটি উপলক্ষে জেলা শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক আমজাদ আলী খানের নেতৃত্বে জেলা শ্রমিকলীগ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন সংগঠন মুক্তিযুদ্ধ স্বৃতি স্তম্ভে ও বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে ফুল দিয়ে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
জয়পুরহাট : জয়পুরহাট শহীদ ডা. আবুল কাশেম ময়দানের ’৭১ ফুট উচ্চ মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধে’ প্রথম পুস্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক মো. শরীফুল ইসলাম। পরে একে একে জেলা পরিষদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে স্মৃতি সৌধে ফুল দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া : স্বাস্থ্যবিধি মেনে ফারুকী পার্কে অবস্থিত স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খানের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সুপার আনিসুর রহমানের নেতৃত্বে জেলা পুলিশ শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানোর পর আওয়ামী লীগ, বিএনপি, প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। এ ছাড়াও দিনটি পালনে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভার্চুয়াল আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল, কারাগার-হাসপাতাল-সরকারি শিশু পরিবারে বিশেষ খাবার বিতরণসহ দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর : শহরের ঝুমুর সিনেমা হল এলাকার বিজয় চত্বর স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে জেলা প্রশাসন, আওয়ামী লীগ, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনগুলো মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল, পুলিশ সুপার ড. এএইচএম কামরুজ্জামান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক ও সাধারণ সম্পাদক নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন প্রমুখ।
পরে সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে শহরের বাগবাড়ি গণকবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ শেষে শহিদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
ময়মনসিংহ : যথাযোগ্য মর্যাদায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হচ্ছে ময়মনসিংহে। আজ বুধবার সকাল ৭টায় নগরীর পাটগুদাম ব্রিজ মোড় স্মৃতি স্তম্ভে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য মনিরা সুলতানা মনি, বিভাগীয় কমিশনার কামরুল হাসান, পুলিশের ময়মনসিংহ রেঞ্জ ডিআইজি ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ, জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান, পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামানসহ রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
ফরিদপুর : নানা আয়োজনে ফরিদপুরে মহান বিজয় দিবস পালিত হচ্ছে। সকাল ৮টায় শহরের গোয়ালচামটে স্মৃতি স্তম্ভে ফরিদপুর সদর আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের পক্ষে পুষ্পমাল্য অর্পনের মধ্যে দিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন শুরু হয়। পরে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও সহযোগী সংগঠন পুস্প্যমাল্য অর্পণ করে।
সকাল সাড়ে ৯টায় ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ‘শত সহস্র কণ্ঠে’ জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। এতে সরাসরি ও ইন্টারনেট প্রযুক্তির মাধ্যমে দেশ ও দেশের বাইরে থেকে জাতীয় সংগীত গেয়ে ওঠেন এক লাখ ২০ হাজারের বেশি মানুষ। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক অতুল সরকার, পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামানসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষ।