বাণিজ্য ডেস্ক :
৫০ হাজার টাকা দামের একটি ল্যাপটপ এখন কিনতে হবে কমপক্ষে ৬৫ হাজার টাকায়। ৩০ হাজার টাকার স্মার্টফোনে লাগবে অন্তত ৩৬ হাজার টাকা। প্রায় ৪০০ টাকা বাড়তি লাগবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারে।
২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল তথ্যপ্রযুক্তি খাতে যে কর প্রস্তাব করেছেন, তাতেই ভোক্তার পকেট থেকে যাবে এই বাড়তি অর্থ। সরকারের এমন উদ্যোগে দীর্ঘদিন ধরে প্রযুক্তি বাজারে চলা মন্দাভাব আরও দীর্ঘায়িত হওয়ার আশঙ্কা খাতসংশ্লিষ্টদের।
দেশের বাজারে অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে ডলারের দাম। এরসঙ্গে যোগ হয়েছে চিপসেটের উচ্চমূল্য ও জাহাজের বাড়তি ভাড়া। সবকিছু মিলিয়ে গেল কয়েক মাসে দেশীয় বাজারে ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোনের দাম বেড়েছে ১০ শতাংশের মতো।
এ অবস্থায় ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে আমদানি করা ল্যাপটপ, প্রিন্টার, কার্টিজ, টোনারে ১৫ শতাংশ এবং মোবাইল ফোনের ওপর ব্যবসায়িক পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করেছেন অর্থমন্ত্রী।
আমদানিকারকরা বলছেন, বর্তমানে মাত্র একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান দেশে ল্যাপটপ সংযোজন করছে। ৯০ শতাংশের বেশি চাহিদা পূরণ করা হয় আমদানি করে। এ অবস্থায় ১৫ শতাংশ ভ্যাট ও এআইটি মিলিয়ে ল্যাপটপ আমদানিতে মোট খরচ বাড়বে ৩১ শতাংশ।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতি সুব্রত সরকার বলেন, ‘ছোট্ট একটা উদাহরণ দিই: আগে বাজারে আপনি যে ল্যাপটপ কিনতেন ১ লাখ টাকায়, সেটির দাম বেড়ে এখন হয়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা।’
ডলারের দাম বাড়ায় ইতোমধ্যে প্রতিটি হ্যান্ডসেটে দাম বেড়েছে ২-৩ হাজার টাকা পর্যন্ত। এ অবস্থায় চারটি স্তরে প্রস্তাবিত ৫ শতাংশ ভ্যাট বেড়ে ২০ শতাংশে দাঁড়াবে। এতে বর্তমানের ৩০ হাজার টাকার মোবাইল ফোন ক্রেতাকে কিনতে হবে ৩৬ হাজার টাকায়।
ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারে বাজেট প্রস্তাবনায় ১০ শতাংশ অগ্রিম কর আরোপ করা হয়েছে। অপটিক্যাল ফাইবার আমদানিতে যুক্ত হয়েছে ১০ শতাংশ ভ্যাট। এতে এক হাজার টাকা সংযোগে গ্রাহককে বাড়তি গুনতে হবে ৩০০-৪০০ টাকা।
এসব প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার উদ্যোগ বড়সড়ো ধাক্কা খাবে বলে মনে করেন খাতসংশ্লিষ্টরা।