জাতীয় ডেস্ক:
শ্রমিক ঠকানোর মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জামিনের মেয়াদ ৩ মার্চ শেষ হচ্ছে। এদিন হাজির হয়ে তাকে ফের জামিন নিতে হবে।
এদিকে ইউনূসের আইনজীবী বলছেন, এই মামলায় একের পর এক ভুল করছেন আদালত। তবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেছেন, আইনি লড়াইয়ে কোনো ছাড় নয়, অধ্যাপক ইউনূস যে আদালতে যাবেন সেখানেই হবে লড়াই।
শ্রমিক ঠকানোর মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ছয় মাসের কারাদণ্ড হয়। ৩০ দিনের মধ্যে শ্রমিকদের দেনা-পাওয়া পরিশোধ করতেও বলা হয় তাকে। এ রায়ের বিরুদ্ধে ২৮ জানুয়ারি আপিল করেন তিনি। সাজা স্থগিত করে তাকে জামিন দেন আদালত।
৩ মার্চ জামিনের মেয়াদ শেষ হবে ইউনূসের। তার আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করতে পারেন না বিচারক। যেহেতু ইউনূসের জামিনের মেয়াদ ৩ মার্চ পর্যন্ত। জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আমাদের উপস্থিত হতে হবে। হাজিরা দিয়ে জামিন আবেদন করা হবে।
অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, আইনি যুদ্ধে কোনো ছাড় পাবেন না ইউনূস। এখানে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করা চেষ্টা করা হবে। কিন্তু বিচারের ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব পড়বে না। কোনো ধরনের বিবৃতি কাজ হবে না।
কলকারখানার আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান বলেন, বিচার স্থগিত চেয়ে ড. ইউনূসের রুল শুনানির জন্য ৬ মার্চ দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। আমাদের পক্ষে যত আর্জি আমরা পেশ করবো। ৩ মার্চ ইউনূসের হাজিরা রয়েছে, আমরা এখানেও কনফেস করবো।
তিনি বলেন, কলকারখানা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর কাউকে ছাড় দেবে না। উনারা যেখানে আমরাও সেখানে।