হোম খুলনা ৩৩ জেলেকে সুন্দরবনের দস্যুদের কবল থেকে উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড 

৩৩ জেলেকে সুন্দরবনের দস্যুদের কবল থেকে উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড 

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 25 ভিউজ
জসিম উদ্দিন:
মুক্তিপনের দাবিতে  অপহরণ হওয়া ৬ নারীসহ ৩৩ জেলেকে  সুন্দরবনের দুর্ধর্ষ ডাকাত করিম শরীফ বাহিনীর কবল থেকে উদ্ধার করেছে কোস্ট গার্ড।
বৃহস্পতিবার( ১০ এপ্রিল) সকালে বাংলাদেশ  কোস্টগার্ড  এর মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য নিশ্চিত করেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়,  দুর্ধর্ষ ডাকাত করিম শরীফ বাহিনী সুন্দরবনে  তাদের গোপন আস্তানায় ১৬ টি নৌকা সহ ৩৩ জন জেলেকে মুক্তিপনের দাবিতে  জিম্মি করে রেখেছে। এমন সংবাদের  ভিত্তিতে বুধবার  সকাল ১১ টা হতে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড বেইস মোংলা ও আউটপোস্ট নলিয়ান কর্তৃক সুন্দরবনের করকরি নদীর মাল্লাখালী এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান চলাকালীন কোস্ট গার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতদল ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে অতি দ্রুত বনে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে উক্ত এলাকা তল্লাশি করে  অপহরণকৃত ৬ জন নারী সদস্য সহ ৩৩ জন জেলেকে ১৬টি বোটসহ উদ্ধার করা হয়।
অপহরণকৃত জেলেদের বরাত দিয়ে  কোস্টগার্ড এর এ কর্মকর্তা আরো জানান,  গত ৯ এপ্রিল  সকালে মাছ ও কাঁকড়া ধরার উদ্দেশ্যে কয়রা হতে সুন্দরবনের উদ্দেশ্যে গমন করে ওইসকল বনজীবিরা। পরবর্তীতে ডাকাত করিম শরীফ বাহিনী তাদের জিম্মি করে প্রতিজনের নিকট হতে ১০ হাজার টাকা করে মুক্তিপণ দাবি করে।
উদ্ধার হওয়া সকল জেলে খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার বাসিন্ধা। ট্রলারসহ জেলেদের পরিবারের নিকট হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান লে: কমান্ডার সিয়াম উল- হক।
উল্লেখ্য,  দশক থেকে সুন্দরবন উপকূলের তাণ্ডব শুরু করে জলদস্যু ও বনদস্যুরা। এতে এই অঞ্চলে বনজীবী ও মৎস্যজীবীসহ বনের উপর নির্ভরশীল বিভিন্ন পেশার মানুষ জিম্মি হয়ে পড়ে দস্যুদের কাছে।
ডাকাতি, অপহরণ ও হত্যাসহ নানা তাণ্ডব চালায় একাধিক দস্যু বাহিনী। এরপর থেকে বনদস্যু ও জলদস্যু মুক্ত করতে প্রক্রিয়া শুরু করে র‍্যাব। ২০১২ সাল থেকে র‍্যাবের জোরালো অভিযানে কোণঠাসা হয়ে  পড়ে বনের গহীনে থাকা জলদস্যুরা। র‍্যাবের তৎপরতায় দস্যু বাহিনীগুলো ফেরারি জীবন শুরু করে। এরপর দস্যুতার অবসান ঘটিয়ে আত্মসমর্পণের পথ বেছে নেয়। এক পর্যায়ে ২০১৬ সালের ৩১ মে থেকে ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর পর্যন্ত সুন্দরবনের মোট ৩২টি দস্যু বাহিনীর ৩২৮ জন সদস্য ৪৬২টি অস্ত্র ও ২২ হাজার ৫০৪ রাউন্ড গোলাবারুদসহ আত্মসমর্পণ করেন। এর পর  সম্পূর্ণভাবে জলদস্যু মুক্ত হয় সুন্দরবন। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলে গেছে। কয়েক মাস ধরে আবারও তৎপর হয়ে উঠেছে বনদস্যুরা। প্রায় অপহরণ করছে বনজীবিদের। ##

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন